ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো ইন্দোনেশিয়া, নিহত ৪৬

Print Friendly, PDF & Email

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়া ৫ দশমিক ৬ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। সোমবার (২১ নভেম্বর) দেশটির পশ্চিম জাভা অঙ্গরাজ্যে কম্পনটি আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৬। এতে অন্তত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

শক্তিশালী কম্পনের ফলে লোকজন তাদের বাড়িঘর থেকে দৌড়ে বাইরে বেরিয়ে পড়ে। কেউ কেউ অজ্ঞান হয়ে পড়েন। কাউকে বমি করতে দেখা যায়।

সম্প্রচারমাধ্যম মেট্রো টিভির সঙ্গে আলাপকালে হতাহতের একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন সিয়ানজুর জেলা প্রশাসনের প্রধান হারমান সুহেরম্যান। তিনি জানান, শুধু একটি হাসপাতালেই অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া কমপক্ষে ৩০০ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

ভূমিকম্পে হতাহতের পাশাশি অন্তত কয়েক ডজন ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনাগুলোর মধ্যে একটি ইসলামিক বোর্ডিং স্কুল এবং একটি হাসপাতালও রয়েছে। ধসে পড়া বিভিন্ন ভবনের ধ্বংসাবশেষের নিচে আটকে পড়ে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, সোমবারের ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল পশ্চিম জাভা প্রদেশের সিয়ানজুর অঞ্চলের ১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে। ভূপৃষ্ঠ থেকে এর গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার। তবে সুনামির কোনও আশঙ্কা নেই।

বৃহত্তর জাকার্তা অঞ্চলেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। দক্ষিণ জাকার্তার বাসিন্দা ভিদি প্রিমধানিয়া বলেন, ‘কম্পনটি খুব শক্তিশালী ছিল। আমার সহকর্মীরা এবং আমি জরুরি সিঁড়ি ব্যবহার করে নবম তলায় অবস্থিত আমাদের অফিস থেকে বের হওয়ার সিদ্ধান্ত নেই।’

তার অফিস ভবনের দেয়াল এবং ছাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও জানান তিনি। প্রশান্ত মহাসাগরের ‘রিং অব ফায়ার’ অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায় ইন্দোনেশিয়া প্রায়ই ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত প্রত্যক্ষ করে। ২০০৪ সালে সুমাত্রা উপকূলে ৯.১ মাত্রার ভূমিকম্প ও এরপরের সুনামিতে এই অঞ্চলজুড়ে দুই লাখ ২০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। এরমধ্যে ইন্দোনেশিয়ায় মারা যায় এক লাখ ৭০ হাজার মানুষ। ২০১৮ সালে লম্বক দ্বীপে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ৫৫০ জনের মৃত্যু হয়। গত বছর সুলাওসি দ্বীপে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প এবং পরবর্তী সুনামিতে চার হাজার ৩০০ মানুষের মৃত্যু হয়।