সু চির ৪ বছরের কারাদণ্ড

Print Friendly, PDF & Email

নিউজ ডেস্ক : সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত ও গৃহবন্দি মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চিকে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। তার বিরুদ্ধে ১১টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আজ সোমবার জান্তাশাসিত দেশটির একটি আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।

সোমবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

খবরে বলা হয়েছে, গত ১ ফেব্রুয়ারি ক্ষমতাচ্যুতের পর সুচির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করে সামরিক সরকার। এর মধ্যে আজ প্রথম রায় ঘোষণা হলো শান্তিতে নোবেল বিজয়ীর বিরুদ্ধে।

জান্তা সরকারের এক মুখপাত্র ফরাসি বার্তা সংস্থা এফপিকে জানিয়েছেন, উসকানির বিরুদ্ধে দুই বছর এবং কোভিড-১৯ নিয়ম লঙ্ঘনের দায়ে আরও দুই বছরসহ মোট চার বছরের সাজা ঘোষণা করেন আদালত। তাকে কারাগারে রাখা হবে কিনা তা স্পষ্ট করা হয়নি। গত ৩০ নভেম্বর তার রায় ঘোষণা হওয়ার কথা থাকলে তা পিছিয়ে ৬ ডিসেম্বর ধার্য করা হয়।

দুর্নীতি, রাষ্ট্রীয় গোপনীয় আইন লঙ্ঘনসহ একাধিক মামলা রয়েছে সু চির বিরুদ্ধে। সবগুলোর মামলার রায়ে তার সাজা হলে আজীবন কারাগারে থাকতে হতে পারে। যদিও সবগুলো অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন তিনি।

চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি ভোরে সু চিকে আটক করে সামরিক বাহিনী। এরপর তার সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে সামরিক শাসন জারি করে। প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভ অব্যাহত রেছে বেসামরিক মানুষ। চলমান আন্দোলনে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন এক হাজার তিনশ’র বেশি মানুষ। জান্তা সরকারের দমন পীড়নের ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে আসছে বিশ্ব সম্প্রদায়। সু চি’র মুক্তির দাবি জানিয়েছে পশ্চিমারা।