কাবুল বিমানবন্দরে আরেকটি হামলার আশঙ্কা, সতর্ক করলেন বাইডেন

Print Friendly, PDF & Email

নিউজ ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, কাবুল বিমানবন্দরে আরেকটি হামলার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে। সামরিক কমান্ডাররা তাকে জানিয়েছেন, রবিবারই এই হামলা হতে পারে।

”সুনির্দিষ্ট ও বিশ্বাসযোগ্য হুমকি” থাকায় মার্কিন নাগরিকদের ওই এলাকা এড়িয়ে চলার জন্য সতর্ক করে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর।খবর- বিবিসির।

কাবুলে এখনো উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে যুক্তরাজ্যের সৈন্য, কূটনৈতিক এবং কর্মকর্তাদের নিয়ে শেষ ফ্লাইটটি কাবুল ছেড়ে গেছে।

বিমানবন্দরের কাছে একটি আত্মঘাতী বোমা হামলায় বৃহস্পতিবার অন্তত ১৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ইসলামিক স্টেট গ্রুপের স্থানীয় একটি শাখা-ইসলামিক স্টেট ইন খোরাসান প্রদেশ (আইএস-কে) ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে।

পাল্টা জবাব হিসাবে শুক্রবারে আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে ড্রোন হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে শীর্ষস্থানীয় দুই জন আইএস-কে নেতাকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

এই দুইজন ব্যক্তি পরিকল্পনাকারী ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নকারী বলে বর্ণনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে কাবুল বিমানবন্দরে হামলার সঙ্গে তারা সরাসরি জড়িত ছিলেন কিনা, তা পরিষ্কার নয়।
শনিবার একটি বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, এই (ড্রোন) হামলাই শেষ নয়। জঘন্য ওই হামলার সঙ্গে যে ব্যক্তি জড়িত থাকুক না কেন, তাদের খোঁজ আমরা চালিয়ে যাবো এবং উপযুক্ত শাস্তি দেয়া হবে।”

আফগানিস্তানের সবচেয়ে চরমপন্থী ও সহিংস জঙ্গি গ্রুপ হচ্ছে আইএস-কে। আফগানিস্তানের বেশিরভাগ এলাকা নিয়ন্ত্রণকারী তালেবানের সঙ্গে তাদের বড় ধরনের পার্থক্য রয়েছে। তাদের অভিযোগ, আমেরিকানদের সঙ্গে শান্তি আলোচনা করে যুদ্ধক্ষেত্র পরিত্যাগ করেছে তালেবান।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ড্রোন হামলার নিন্দা জানিয়েছে তালেবান। তারা বলছেন, আমেরিকানদের উচিৎ ছিল, আগে তাদের সঙ্গে আলোচনা করা।
এদিকে কাবুল বিমানবন্দর থেকে সৈন্যদের সরিয়ে নিতে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত সপ্তাহে সেখানে ৫৮০০ সৈনিক থাকলেও এখন রয়েছে ৪০০০ মার্কিন সৈন্য।

হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তারা বলছেন, চূড়ান্ত প্রত্যাহার শুরু হওয়ায় সামনের কয়েকদিন আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।

অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানিয়েছে, বিমানবন্দরের আশেপাশে আরও কয়েক স্তরের তল্লাশি চৌকি বসিয়েছে তালেবান। বেশিরভাগ আফগানকে তারা এসব চেকপোস্ট পার হতে দিচ্ছে না।

দুই সপ্তাহ আগে বিমানে করে উদ্ধার অভিযান শুরু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত আফগান ও বিদেশি নাগরিক মিলিয়ে কাবুল থেকে ১১০০০০ জনকে সরিয়ে আনা হয়েছে।