নিউজ ডেস্ক : তালেবানকে পরাজিত করে মার্কিন বাহিনী দায়িত্ব নেওয়ার পর, র্দীঘ এক যুগ প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো প্রদেশে আত্মঘাতী হামলা হতো। তবে সাম্প্রতিক সময়ে সেই প্রবণতা কমে এসেছিল আফগানিস্তানে।
কিন্তু দীর্ঘ ২০ বছর পর আবার আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণে তালেবানের হাতে আসার পরই রাজধানী কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে জোড়া আত্মঘাতী বোমা হামলায় অন্তত ১৩ মার্কিন সেনাসহ ১০০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
খবর ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ও কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল-জাজিরার।
কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্বে ছিল মার্কিন সেনারা। এদিকে ৩১ আগস্ট আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের সময়সীমা শেষ হবে। আর তারাও প্রস্তুতি নিচ্ছে নিজ দেশে ফেরার। এই অবস্থায় এমন হামলায় চরম উদ্বেগে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অনেক দেশ।
বৃহস্পতিবার শেষ বেলায় চালানো এ হামলায় অন্তত ১৩ মার্কিন সেনাসহ শতাধিক প্রাণহানি হয়েছে। উগ্র জঙ্গি গোষ্ঠী দায়েশ (আইএস) আনুষ্ঠানিকভাবে এ হামলার দায় স্বীকার করেছে।
এই হামলার জন্য, তালেবান দায়ি করছে মার্কিন সেনাদের। তালেবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে মার্কিন সেনারা। তিনি বলেন, সারাদেশের নিরাপত্তা রক্ষা করার দায়িত্ব তাদের হাতে থাকলেও কাবুল বিমানবন্দর নিয়ন্ত্রণ করছে মার্কিন সেনারা।
এদিকে কাবুলে ভয়াবহ বোমা হামলার নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হামলাকারীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যারা আমেকিার ক্ষতি চায়, তারা জেনে রাখুন, আমরা ক্ষমা করবো না। আমরা ভুলবোও না। তিনি বলেন, আমরা তাদের খুঁজে বের করবো। তাদেরকে চরম মূল্য দিতে হবে।