নিউজ ডেস্ক : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে যারা জড়িত ছিল, জাতীয় কমিশন গঠন করে তাদের মুখোশ উন্মোচন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেছেন, “আমরা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার করেছি। বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যে যারা আছেন, তাদেরকে আমরা কিন্তু এখনও চিহ্নিত করে দেই নাই।
“তথ্য-উপাত্ত ও প্রমাণ আছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যে যারা জড়িত ছিলেন, একটা কমিশনের মাধ্যমে আমরা তাদের মুখোশ উন্মোচন করব। দেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে এই কমিশন গঠন করা হবে। কমিশনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের কুশীলব ও নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করা হবে। জিয়াউর রহমানসহ সবার পরিচয়, সবার ন্যক্কারজনক কাজ সাক্ষ্যপ্রমাণসহ জনসম্মুখে উপস্থাপন করা হবে।
শোকের মাস অগাস্টে বৃহস্পতিবার সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় মন্ত্রী একথা বলেন।
আনিসুল হক এর আগেই জানিয়েছিলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারীদের চিহ্নিত করতে ওই কমিশন মহামারী নিয়ন্ত্রণে এলেই করা হবে।
বৃহস্পতিবারের অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আমরা প্রতিহিংসার জন্য এটা করব না, আমরা এই দেশের ভালোর জন্য, ভিত শক্ত করার জন্য এটা করব। নতুন প্রজন্মকে একটা পরিষ্কার ইতিহাস উপহার দেওয়ার জন্য আমাদের এই প্রচেষ্টা।”
গঠিতব্য কমিশনের বিষয়ে তিনি বলেন, “অনেকে লেখেছেন, এটা কি নেলসন ম্যান্ডেলার ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশনের মতো হবে? নেলসন ম্যান্ডেলার ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন কিন্তু একদমই ভিন্ন ছিল। সেটা ছিল, যে অপরাধ করেছে, সে এসে বলত ‘আমি অপরাধ করেছি, আমাকে ক্ষমা করে দেন। আমি এখন সমাজে রিকনসাইল্ড হতে চাই, রিহ্যাবিডেট হতে চাই’। তখন তাকে ক্ষমা করা হত অথবা শর্ট পানিশমেন্ট দিয়ে সমাজে রিহ্যাবিলেট করত।”
“বঙ্গবন্ধু হত্যায় কোনো রিহ্যাবিলেটেশনের প্রশ্ন উঠে না। এখানে আমরা কোনো রিকনসিলিয়েশনের মধ্যে যেতে চাই না। আমরা বাংলাদেশের জনগণকে সত্য উপহার দিতে চাই। আমরা এইসব নাফরমান, মীরজাফরদের পরিচিত করে দিতে চাই, যাতে বাংলাদেশ চলার পথে এরা আর কোনো অসুবিধা সৃষ্টি করতে না পারে,” বলেন তিনি।
সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এএফএম মফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান, সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম বক্তব্য দেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক মুহাম্মদ ইমতিয়াজের উপস্থাপনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ডের উপদেষ্টা অধ্যাপক এএনএম মেশকাত উদদীন স্বাগত বক্তব্য দেন।