নিউজ ডেস্ক : জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় কোভিড-১৯ সমন্বয় কমিটির সভা শেষ হয়েছে। জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) ডা. এ মালিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সৈয়দ জগলুল পাশা।
শুরুতেই বক্তব্য দেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ড. এ কে আব্দুল মুবিন। জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের কোভিড সংক্রান্ত কার্যক্রমের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন আহমেদ।
সভায় কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করেন জাতীয় অধ্যাপিকা ডা. শাহলা খাতুন, জালালাবাদ শিক্ষা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন।
অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন সাবেক সচিব সোহেল আহমদ চৌধুরী, আরটিএম আল কবির টেনিক্যাল ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান ড. আহমদ আল কবির, সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ডা. মোর্শেদ আহমদ চৌধুরী, বিএমএ’র মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী, মৌলভীবাজার জেলা সমিতি ঢাকার সভাপতি ডা. সৈয়দ মোশতাক আহমদ, অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী সদস্য ডা. আহমেদ পারভেজ জাবীন এবং আজীবন সদস্য ডা. আব্দুল জলিল বার ভূঁইয়া।
প্রবাসী জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সভায় সংযুক্ত থেকে পরামর্শ দেন যুক্তরাজ্য সভাপতি মুহিবুর রহমান মুহিব ও সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক জিল্লু, যুক্তরাষ্ট্রের সভাপতি মইনুল হক চৌধুরী হেলাল, ফ্রান্সের সভাপতি হেনু মিয়া সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন, ইতালির সভাপতি অলি উদ্দিন শামীম, গ্রিসের সাধারণ সম্পাদক মো. মুমিন খান, সৌদির সভাপতি কাপ্তান হোসেন, বাহরাইনের সভাপতি কয়েস আহমদ।
এছাড়া কাতারের সভাপতি মাহবুবুর রাহমান চৌধুরী, কুয়েতের সভাপতি আব্দুল হাই মামুন, মালয়েশিয়ার সাধারণ সম্পাদক আহমেদুল কবির। জালালাবাদ অঞ্চলের কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রবাসীদের পক্ষ হতে সব রকমের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের কোভিড-১৯ ও চিকিৎসা সহায়তা কার্যক্রম বাস্তবায়ন শক্তিশালী করণের বিষয়ে আলোচনা করেন সাবেক সভাপতি সি এম তোফায়েল সামি, সহ-সভাপতি জালাল আহমেদ, সহ-সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, সহ-সভাপতি আব্দুল মজিদ চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফাহিমা খানম চৌধুরী ও আনোয়ার চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সজল, কার্যনির্বাহী সদস্য বনমালী ভৌমিক, মো. আব্দুর রউফ, আব্দুল মজিদ চৌধুরী মিন্টু।
সিলেটের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি বিবেচনায় করোনা প্রতিরোধমূলক কার্যক্রমের মধ্যে মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহারের জন্য জনসচেতনতা তৈরির উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। সিলেট বিভাগের সব জেলা, উপজেলা, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন পর্যায়ে সরকারি-বেসরকারি সহায়তায় ব্যাপক প্রকল্প গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এছাড়া বিশেষভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সিলেট বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সহযোগিতায় অনলাইন চিকিৎসা সেবার সিদ্ধান্ত হয়। সংশ্লিষ্ট সিভিল সার্জন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করে প্রয়োজনীয় মাস্ক, স্যানিটাইজার জরুরি ভিত্তিতে বিতরণ করা, স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি সরকারি প্রকল্প তৈরি এবং বাস্তবায়নের ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়।