নিউজ ডেস্ক : প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ওপর সরকারের দেয়া প্রণোদনার হার এ মুহূর্তে বাড়ানোর চিন্তা-ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বুধবার (৪ আগস্ট) দুপুরে ভার্চুয়ালি ২৬তম সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে অনলাইন ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
রেমিট্যান্সের যারা ৫০০ ডলারের কম পাঠান তাদের প্রণোদনা ১ শতাংশ বাড়ানোর বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সুপারিশ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এ মুহূর্তে বাড়াচ্ছি না। আমার মনে হয় ২ শতাংশ ইনসেনটিভ (প্রণোদনা) ঠিক আছে। ইনসেনটিভের ক্ষেত্রে রেভিনিউ এলাকায় নতুন নতুন ক্ষেত্র তৈরি করতে পারি কি-না সেটা আমরা দেখব। এর পরিসর যতটা বাড়ানো যায় ততোটা চেষ্টা করব। এখন আমরা ইনসেনটিভ বাড়ানোর চিন্তা-ভাবনা করছি না। রেমিট্যান্সে ইনসেনটিভের হার একই দেয়া হচ্ছে। কেউ কেউ বলছেন যাদের আয় কম তাদের ইনসেনটিভ বাড়াতে, তবে আমাদের সেরকম চিন্তা-ভাবনা নেই। যে যে পরিমাণ আয় করবে তা বৈধপথে পাঠালে প্রণোদনা পেয়ে যাবে।’
অন্যান্য কোন কোন খাতে ইনসেনটিভ দেয়া হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা সেটা ভেবে দেখব। আমরা ভাবছি দেয়া যায় কি-না। যে যে খাতে দেয়া যাবে আমরা সেই খাতে দেব।’
রেমিট্যান্সের টাকা নজরদারিতে রাখার বিষয়ে সিপিডির বক্তব্য প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সিপিডি তো বলেছে আসবেই না। বেশি আসছে বেশি গেছে। আমরা যেভাবে চাচ্ছি, আমাদের রেমিট্যান্স যেগুলো বিদেশে উপার্জিত হয় তা দেশে আসুক, বৈধপথে আসুক। আগে বৈধপথে আসত, অন্যান্য পথেও আসত। এখন বৈধপথে আসাটায় এদের কোথায় আপত্তি আছে আমি জানি না। তারা কি দেখতে চাচ্ছে। যার কাছে টাকা আছে যে বিদেশে ব্যবসা বা চাকরি করেন তিনি তার টাকা দেশে পাঠাবেন। এতে সিপিডির বলার কি আছে, কার কি বলার আছে। আমরা যদি কোনো নিয়মনীতির মধ্য দিয়ে রেমিট্যান্স নিয়ে আসি সেটা তো দেশের জন্য ভালো বলে মনে করি।’