নিউজ ডেস্ক : নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আলোচিত-সমালোচিত ব্যবসায়ী হেলেনা জাহাঙ্গীর রাজধানীর ১২টি অভিজাত ক্লাবের সদস্য বলে জানিয়েছে র্যাব।
ফেসবুকে বেশ সক্রিয় হেলেনা জাহাঙ্গীর মূলত একজন নারী উদ্যোক্তা।
কিছুদিন আগে তিনি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছেন। আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্যও হয়েছিলেন তিনি। তবে গত রোববার তাকে এই কমিটি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তিনি মেয়র পদে নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মনোনয়ন পাননি। সম্প্রতি কুমিল্লা-৫ আসনের উপনির্বাচনেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন।
হেলেনা জাহাঙ্গীর ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সদস্য ও নির্বাচিত পরিচালক। এ ছাড়া তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএরও সক্রিয় সদস্য তিনি।
সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের হেয় করে বক্তব্য দেওয়ায় তিনি ভাইরাল হন। চাকরিজীবী লীগ তৈরি করে সম্প্রতি তিনি আলোচনায় আসেন।
২৯ জুলাই রাতে গুলশানের বাসভবনে অভিযান চালিয়ে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে আটক করে র্যাব। তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য ও জুয়ার সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা ও ব্যক্তিদের সম্মানহানি করার অপচেষ্টার অভিযোগে শুক্রবার হেলেনা জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত প্রবাসী সেফুদার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা ও আর্থিক লেনদেন ছিল বলে জানিয়েছে র্যাব।