নিউজ ডেস্ক : ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১৭ ও ১৮ জুলাই কোরবানির পশু পরিবহনের জন্য ‘ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন’ পরিচালনা করে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী-ঢাকা রুটে চলেছে ‘ক্যাটল স্টেশাল ট্রেন’।
ট্রেনটি মাত্র দুদিন চলেছে। তাতেই আয় হয়েছে প্রায় এক লাখ টাকা।
ট্রেনটিতে কোরবানির পশু পরিবহন করায় এই অঞ্চলের খামারি ও ব্যবসায়ীরা নামমাত্র খরচে কোরবানির পশু বিক্রির জন্য রাজধানী ঢাকায় নিয়ে যেতে পেরেছিলেন।
জনসাধারণের সুবিধার্থে সরকার এই ট্রেনটি চালু করায় এই অঞ্চলের খামারি-ব্যবসায়ীরা হাটে ও সাধারণ মানুষ ঢাকায় আত্মীয়ের বাড়িতে কোরবানির পশু পাঠিয়েছেন।
একদিকে কম খরচে, অন্যদিকে নিরাপদ পরিবহন। তাই আগামী বছর আরও বড় পরিসরে ‘ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন’ চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের বাণিজ্যিক শাখা সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ জুলাই বিকেলে রাজশাহী থেকে ঢাকায় পশু পরিবহনের জন্য ‘ক্যাটল স্পেশাল’ নামের ট্রেনটির উদ্বোধন করা হয়। কোরবানির পশু পরিবহনের সুবিধার্থেই মূলত এই ট্রেন সার্ভিসটি চালু করা হয়েছিল। উদ্বোধনের দিনই চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে স্পেশাল ওই ট্রেনের ৪টি ওয়াগনে ৮০টি (রেলওয়ের আয় ৪৭ হাজার ৩২০ টাকা), রাজশাহী থেকে ১টি ওয়াগনে ২০টি গরু (রেলওয়ের আয় ১১ হাজার ৮৩০ টাকা) এবং বড়াল ব্রিজ স্টেশন থেকে থেকে ১টি ওয়াগনে ১০০টি ছাগল (রেলওয়ের আয় ৯ হাজার ২৩০ টাকা) ঢাকায় পরিবহন করা হয়। উদ্বোধনের প্রথম দিনই মোট ১০০টি গরু ও ১০০টি ছাগল পরিবহনে পশ্চিম রেলওয়ের আয় হয় ৬৮ হাজার ৩৮০ টাকা। দ্বিতীয় দিন ১৮ জুলাই রাজশাহী থেকে ১টি ওয়াগনে ১৪টি গরু ও ৬টি ছাগল (রেলওয়ের আয় ১১ হাজার ৮৩০ টাকা) এবং রাজশাহীর বাঘার আড়ানী স্টেশন থেকে একটি ওয়াগনে ২০টি ছাগল (রেলওয়ের আয় ১১ হাজার ৮৩০ টাকা) ঢাকায় পরিবহন করা হয়। দ্বিতীয় দিন মোট ১৪টি গরু ও ২৬টি ছাগল পরিবহনে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের আয় হয় ২৩ হাজার ৬৬০ টাকা। দুই দিনে ‘ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন’ থেকে মোট ৯১ হাজার ৯৮০ টাকা আয় হয়।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (পাকশী) নাসির উদ্দিন বলেন, ‘করোনা মহামারির এই সময়ে লকডাউন চালু থাকায় ট্রেন চলেনি। তাই পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে জনসাধারণের সুবিধার্থে এই বছরই প্রথম রাজশাহী থেকে ঢাকায় মাত্র দুই দিনের জন্য ‘ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন’ চালু করেছিল। এতে পশুগুলো যেমন নিরাপদে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে তেমনি যারা পশুগুলো ঢাকায় নিয়ে গিয়েছিলেন তারা অন্তত পরিবহনের সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনেছেন। সবমিলিয়ে উভয় শ্রেণির মানুষই উপকৃত হয়েছেন। তাই আগামী বছর আরও বড় পরিসরে এই সার্ভিস দেওয়া হবে।