রাবির সাবেক উপ-উপাচার্যের বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ

Print Friendly, PDF & Email

নিউজ ডেস্ক : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ঢাকার অতিথি ভবনের জমি ক্রয় সংক্রান্ত অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত কমিটির সভাপতি ও সাবেক উপ-উপাচার্য চৌধুরী সারওয়ার জাহানসহ জড়িত সবার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে উপাচার্য বরাবর লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী গোলাম রব্বানী এ নোটিশ পাঠান।

রবিবার (৯ মে) দুপুরে আইনজীবী গোলাম রব্বানী  গনমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তবে নোটিশের কপি বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছায়নি বলে জানিয়েছেন উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা।

নোটিশ প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে আত্মসাৎ করা অর্থ ফেরত নেওয়ার ব্যবস্থা না করা হলে বর্তমান উপাচার্যের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে নোটিশে জানানো হয়।

নোটিশে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এবং সাবেক উপ-উপাচার্য চৌধুরী সারওয়ার জাহানের নেতৃত্বে ঢাকার অতিথি ভবনের জন্য জমি ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়ম তদন্তের জন্য গত ২০১৭ সালের জুলাই মাসের ২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের সাধারণ সভার ৩৪ নম্বর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি সার্বিক তদন্ত ও পর্যালোচনা শেষে পর্যবেক্ষণসহ চৌধুরী সারওয়ার জাহানের নেতৃত্বে ঢাকার অতিথি ভবনের জন্য জমি ক্রয় সংক্রান্ত কমিটিকে দায়ী করে গত ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসের ২৮ তারিখে তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করে।

নেটিশে আরও বলা হয়, ওই প্রতিবেদনের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন আইন উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট রফিকুল হাসানের আইনগত মতামত উপেক্ষা করে ঢাকার অতিথি ভবনের জন্য ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকায় জমিটি খরিদ করা হয়। যার সাফ কবলা দলিল গত ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসের ২০ তারিখে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করা হয়। কিন্তু জমির প্রকৃত ক্রয় মূল্য ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা গোপন করে কেবলমাত্র অর্থ আত্মসাতের উদ্দেশে দলিল রেজিস্ট্রেশনের ৩৭ দিন পরে জমির মূল্য ১১ কোটি দেখিয়ে বিক্রেতার সঙ্গে একটি অরেজিস্ট্রিকৃত চুক্তিপত্র সৃজন করা হয়।

করেছে বলে প্রতীয়মান হয়। দলিলে উল্লেখিত জমির প্রকৃত মূল্য ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা বাদে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জমির মূল্য বাবদ গৃহীত অতিরিক্ত ৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা কমিটির কাছ থেকে আদায়যোগ্য এবং অর্থ আত্মসাৎ সংক্রান্ত অপরাধ সংঘটনের দায়ে চৌধুরী সারওয়ার জাহান ও তার কমিটির সদস্যদের শাস্তির মুখোমুখি করা আবশ্যক।

নোটিশে উপাচার্যকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়, নোটিশ প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে ঢাকার অতিথি ভবনের জন্য জমি ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির সভাপতি চৌধুরী সারওয়ার জাহানসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা এবং আত্মসাত করা ৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা ফেরত নেওয়ার ব্যবস্থা করা না হলে আপনার বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনানুযায়ী প্রদক্ষেপ নেওয়া হবে এবং যার আইনগত সব দায়-দায়িত্ব আপনাকে বহন করতে হবে।

জানতে চাইলে আইনজীবী গোলাম রব্বানী বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্বপ্রণোদিত হয়ে এই নোটিশ পাঠিয়েছি। নোটিশ প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে আত্মসাত করা অর্থ ফেরত নেওয়ার ব্যবস্থা না করা হলে আইনানুযায়ী প্রদক্ষেপ নেওয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা বলেন, লিগ্যাল নোটিশের বিষয়ে রেজিস্ট্রারের কাছে খোঁজ নিয়েছি। এ ধরনের কোনো নোটিশ আমরা পাইনি।