নিউজ ডেস্ক : মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে এবার এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা সরাসরি গ্রহণ না করে মূল্যায়ন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
বুধবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এসব কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহাবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হকসহ সকল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এ বছর এইচএসসি পরীক্ষা হবে না। জেএসসি-এসএসসি পরীক্ষার ফলের গড়ের ভিত্তিতে এইচএসসির ফল মূল্যায়ন করা হবে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে মূল্যায়ন করে ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা সরাসরি পরীক্ষা গ্রহণ না করে একটু ভিন্নভাবে মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যারা এইচএসসি পরীক্ষার্থী, তারা দুটি পাবলিক পরীক্ষা- জেএসসি এবং এসএসসি পরীক্ষা পার করে এসেছে। সে দুটির ফল বিবেচনা করে মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। জেএসসি এবং এসএসসি পরীক্ষার ফলের গড়ের ভিত্তিতে এইচএসসির মূল্যায়ন করবো।
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল জানান, মূল্যায়ন হবে আন্তর্জাতিক মানের।
গুচ্ছ পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি
শিক্ষামন্ত্রী জানান, এ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে গুচ্ছ পদ্ধতি প্রয়োগ করা হবে।
উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাসের কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। গত ১ এপ্রিল এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর কথা ছিল। করোনার কারণে তা স্থগিত করা হয়।
করোনার কারণে এ বছর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা বাতিল করে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা/মূল্যায়নের নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে। অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষাও বাতিল করা হয়েছে। নভেম্বরে এসব পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের মধ্যেও প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে টিভিতে শ্রেণি পাঠদান সম্প্রচার করা হচ্ছে। আর উচ্চ মাধ্যমিক এবং উচ্চ শিক্ষাস্তরে অনলাইনে ক্লাস পরিচালনা করা হচ্ছে।