ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি তিন্নির

Print Friendly, PDF & Email

নিউজ ডেস্ক : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী উলফাত আরা তিন্নির রহস্যজনক মৃত্যুর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেছেন চিকিৎসক। তদন্তে ধর্ষণ কিংবা শারীরিক নির্যাতনের আলামত পাওয়া যায়নি বলে নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরএমও ডা. তাপস কুমার সরকার।

সোমবার (০৫ অক্টোবর) রাতে গনমাধ্যমে তিনি তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, তিন্নির ময়নাতদন্তে ধর্ষণের কোনো আলামত মেলেনি। এমনকি শারীরিক নির্যাতনেরও কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। তিনি আত্মহত্যা করেছেন। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) রাতে বড় বোন মিন্নির সাবেক স্বামী একই গ্রামের কনুরুদ্দীনের ছেলে জামিরুল তিন্নিদের বাড়িতে দুই দফা প্রবেশ করে হামলা-ভাঙচুর ও তিন্নির ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। পরে রাত ১২টার দিকে শোয়ার ঘর থেকে সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় তিন্নির মরদেহ উদ্ধার করেন প্রতিবেশীরা।

পরিবারের দাবি, তিন্নি ধর্ষণের শিকার হয়ে লজ্জা ও ক্ষোভে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।

শুক্রবার (২ অক্টোবর) রাতে তিন্নির মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আটজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

তিন্নী ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার শেখপাড়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মৃত ইউসুফ আলীর মেয়ে।