নিউজ ডেস্ক : তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দোকান ভাংচুর, লুটপাট ও দুই যুবককে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে সীমান্তের সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীরা। আহত দুই যুবকের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বেনাপোলের সীমান্তের সাদীপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। এ ব্যাপারে বেনাপোল পোর্ট থানায় একটি মামলা হয়েছে।
পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আলী আহমেদ নেদা ও তার ভাই আজিবার রহমান ভুট্টো নামের দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আহতরা হলেন- সাদিপুর গ্রামের ওসমান খোকার ছেলে মিলন হোসেন (৩৫) ও একই গ্রামের দাউদ আলীর ছেলে জনি আহমেদ (৩৪)। এর মধ্যে জনি আহমেদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পুলিশ জানায়, স্ত্রীর সাথে ঝামেলা চলছিল মিলনের। এর জেলে তার শ্যালক আবু বক্কর এসে মিলনকে ওজন করা বাটখারা দিয়ে মাথায় আঘাত করতে থাকেন। এ সময় জনি এসে ঠেকাতে গেলে তাকে আবু বক্কর, তার বাবা আজিবার রহমান ভুট্টো, চাচা আলী আহম্মদ নেদা ও ফারজেল দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।
এরপর চিকিৎসার জন্য প্রথমে নাভারন হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেন। জনি বর্তমানে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ সময় মিলনের দোকানে থাকা দুই লাখ টাকাও দুর্বৃত্তরা লুট করে নিয়ে যায়।
মিলনের বাবা ওসমান খোকা বলেন, আমার ছেলেকে বাটখারা দিয়ে আহত করার পর জনির মাথায় কোপ দেয় সন্ত্রাসীরা। এ সময় আবু বক্করের চাচা আলী আহম্মেদ নেদা ও আজিবার রহমান ভুট্রো এসে হুকুম দেয় তাদের গুলি করে হত্যা করার জন্য।
তিনি আরও বলেন, নেদা এলাকায় একজন চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী। তিনি লাইসেন্সবিহীন পিস্তল নিয়ে এলাকায় ঘোরাফেরা করেন।
এদিকে ফারজেল হোসেন নামে এক সন্ত্রাসী জনিকে কুপিয়ে অবৈধভাবে ভারতে পালিয়ে যেতে গেলে তাকে ভারত সীমান্তের লোকজন পিটিয়ে বাংলাদেশে সাদীপুর সীমান্ত দিয়ে ফেরত পাঠায়। ফারজেলও গুরুতর আহত অবস্থায় যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন খান বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। আহত জনির বাবা চার জনের নামে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার সাথে জড়িত দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পলাতকদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।