স্বাচ্ছন্দ্যের ঈদযাত্রা, নেই ট্রেনে ওঠার যুদ্ধ

Print Friendly, PDF & Email

নিউজ ডেস্ক : নেই ট্রেনে ওঠার যুদ্ধ। ট্রেনের ভেতর ও ছাদেও নেই ঠাসাঠাসি।

কমলাপুর রেলস্টেশনও নীরব। নেই লাখো যাত্রীর আনাগোনা। এ দৃশ্য একসময় অবিশ্বাস্য হলেও করোনা ভাইরাস বদলে দিয়েছে দৃশ্যপট। এখন ঈদযাত্রায়ও সুশৃঙ্খল কমলাপুর রেলস্টেশন।
সুশৃঙ্খলভাবে নিজ আসনে বসে ট্রেন ভ্রমণ করছেন যাত্রীরা। শিশু থেকে বৃদ্ধ, সবার মুখে মাস্ক। একটু পর পর হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারেও সচেতন মানুষ।

ঈদুল আজহার একদিন আগেও কমলাপুর রেলস্টেশনে নেই বাড়ি ফেরা মানুষের যুদ্ধ। ট্রেন যাত্রাও এখন প্লেন যাত্রার মতো নিরাপদ। টিকিট ছাড়া কেউ প্ল্যাটফর্মে প্রবেশের সুযোগ নেই। ফলে শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে ট্রেনে। স্বাচ্ছন্দ্যে ঈদে বাড়ি ফিরছেন এ নগরের মানুষ।

শুক্রবার (৩১ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, শিশু থেকে বৃদ্ধ, সববয়সী মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ট্রেন ভ্রমণ করছেন। সুশৃঙ্খলভাবে প্ল্যাটফর্মেও প্রবেশ করছেন। কাউকেই ধাক্কাধাক্কি ও তাড়াহুড়ো করতে দেখা যায়নি।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, কমলাপুর রেলস্টেশনে যাত্রী সুরক্ষায় হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নির্ধারিত প্রবেশপথে টিকিট চেক করে এবং হ্যান্ড স্প্রে করে যাত্রীদের প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।

রেল কর্মকর্তারা বলছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনেই যাত্রীরা ট্রেনে যাত্রা করছেন। মাস্ক পরা, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা অর্থাৎ নিজেদের সুরক্ষায় সবই করছেন যাত্রীরা।

জানা গেছে, করোনা ভাইরাসের কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গত ১ জুন থেকে ৫০ শতাংশ অাসনে যাত্রী নিয়ে চলছে অান্তঃনগর ট্রেন। এখন পর্যন্ত সেভাবেই চলছে ট্রেন। এমনকি ঈদেও নেই বাড়তি ট্রেন।

ফলে ঈদযাত্রায়ও নেই অতিরিক্ত যাত্রী। নির্ধারিত যাত্রীর বাইরে কেউই প্ল্যাটফর্মেও প্রবেশ করতে পারছেন না। ট্রেনেও নেই দাঁড়িয়ে যাত্রী যাওয়ার দৃশ্য। অথচ অন্য ঈদে ট্রেনের ছাদেও পা ফেলার জায়গা থাকতো না।

কমলাপুর রেলস্টেশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শুক্রবার ১২টি অান্তঃনগর ট্রেন কমলাপুর ছেড়ে যাবে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত তিনটি ট্রেন ছেড়ে গেছে। এবার যাত্রীর অতিরিক্ত চাপ না থাকায় শিডিউল অনুযায়ী ট্রেনগুলো ছেড়ে যাচ্ছে।

সুন্দরবন এক্সপ্রেসের যাত্রী দিলরুবা সুলতানা নেহা বলেন, এবার স্টেশনে এসে মনে হলো বিমানবন্দরে এসেছি। বিমানবন্দরের মতোই অতিরিক্ত কেউ প্রবেশ করতে পারছেন না। কোনো টোকাইও দেখলাম না। এটা পজিটিভ। এ ধারা অব্যাহত থাকুক।

কমলাপুর রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক আমিনুল হক গনমাধ্যমে বলেন, শিডিউল অনুযায়ী ট্রেনগুলো ছেড়ে যাচ্ছে। সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে।