নিউজ ডেস্ক : প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হলে প্রথমে সীতাকুণ্ডে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রফিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকসাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি) হাসপাতালে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ওই হাসপাতালে ইতোমধ্যে চালু করা হয়েছে ১০ শয্যার ইউনিট।
হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ জানান, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ২৪ জানুয়ারি থেকে হাসপাতালের ডায়রিয়া ইউনিটের দুটি কক্ষে আইসোলেটেড ইউনিট খোলা হয়েছে। এই সংক্রামক ভাইরাস প্রতিরোধে রোগীর জন্য বিশেষ পোশাকও সরকার সরবরাহ করেছে।
বিমানবন্দর বা সমুদ্রবন্দর দিয়ে আসা কারো এ রোগের লক্ষণ প্রকাশ পেলে তাদের এই হাসপাতালে পাঠাতে হবে বলেও জানান তিনি।
সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বী জানান, করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেলে তাদের বিআইটিআইডিতে রাখা হবে। এজন্য ১০টি অ্যাম্বুলেন্স ও পর্যাপ্ত ওষুধ মজুদ আছে। কেউ আক্রান্ত হয়েছে সন্দেহ হলে ব্যক্তিগত বা ছোট পরিবহনে হাসপাতালে যেতে পারবেন। এক্ষেত্রে গণপরিবহন এড়িয়ে চলতে হবে। মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
এদিকে করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নগরে কোয়ারেন্টাইনের জন্য হালিশহরের পিএইচ আমীন একাডেমি ও কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকার সিডিএ পাবলিক স্কুলকে প্রাথমিকভাবে নির্ধারণ করে রাখা হয়েছে। সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি সব হাসপাতালেও আইসোলেশন বেড প্রস্তুত রাখা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে ৩০টি কক্ষ প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং বিভিন্ন উপজেলা হাসপাতালে আলাদা কক্ষ তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ঢাকায় জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) পাঠানো হবে বলে জানান চিকিৎসকরা।