নিউজ ডেস্ক : রাজধানীসহ সকল মহানগর এলাকায় জুয়া খেলার বিরুদ্ধে আইনিব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। তবে টাকার বিনিময়ে জুয়া খেলা বন্ধের নির্দেশনার রায় বহাল থাকবে।
একইসঙ্গে আপিল নিষ্পত্তি না হাওয়া পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ক্লাবগুলোতে অভিযান চালাতে পারবে না বলে আদেশ দিয়েছেন আদালত।
ক্লাবগুলোর এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ ক্লাবগুলোর পক্ষে শুনানি করেন ব্যা রিস্টার এম আমির উল ইসলাম, ব্যা রিস্টার তানিয়া আমির ও ব্যা রিস্টার সুমাইয়া আজিজ।
এসময় জুয়া খেলার পক্ষের মামলায় আইনজীবী হওয়ায় ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলামকে সর্বোচ্চ আদালত বলেন, আপনি এ দেশের সংবিধান প্রণয়নের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। অথচ আজকে আপনিই সংবিধানের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছেন- এটি দুঃখজনক।
এর আগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট এক রায়ে ঢাকা ক্লাবসহ ১৩টি অভিজাত ক্লাব ও সারা দেশে টাকা বা অন্য কিছুর বিনিময়ে তাস, ডাইস, হাউজি খেলাসহ সব ধরনের জুয়া নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন।
একই সঙ্গে ক্লাবসহ জনসমাগম স্থানে জুয়ার উপকরণ পাওয়া গেলে তা জব্দ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হয়। পাশাপাশি এ ধরনের খেলার অনুমতিদাতা, খেলার আয়োজক ও অংশগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। ঢাকা ক্লাবসহ দেশের বিভিন্ন শহরের ১৩টি অভিজাত ক্লাবে জুয়া খেলা বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে করা রিট আবেদনে এ রায় দেয়া হয়।
২০১৬ সালের ৪ ডিসেম্বর এ বিষয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। অভিজাত ১৩ ক্লাবের মধ্যে রয়েছে- ঢাকা ক্লাব, উত্তরা ক্লাব, গুলশান ক্লাব, বনানী ক্লাব, অফিসার্স ক্লাব ঢাকা, ঢাকা লেডিস ক্লাব, ক্যাডেট কলেজ ক্লাব গুলশান, চিটাগাং ক্লাব, চিটাগাং সিনিয়র্স ক্লাব, নারায়ণঞ্জ ক্লাব, খুলনা ক্লাব।
ওই রুলে জুয়া জাতীয় অবৈধ ইনডোর গেম যেমন- কার্ড, ডাইস ও হাউজি খেলা অথবা এমন কোনো খেলা যাতে টাকা বা অন্য কোনো বিনিময় হয়ে থাকে তা বন্ধের নির্দেশনা কেন দেয়া হবে না, তা জানতে চান আদালত।