নিউজ ডেস্ক : প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস ইতিমধ্যেই চীনের উহান থেকে বিশ্বের ৬০টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। মারা গেছেন ৩ হাজারেরও বেশি মানুষ। ফলে বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষের মনেই এখন করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ভয় ঢুকে গেছে।
এদিকে বাংলাদেশের তাপমাত্রাও করোনা ছড়ানোর উপযোগী বলে জানিয়েছে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। তাই দেশের নাগরিকদের এখনই সাবধান হওয়ার ও জীবনাচরণ পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
এমন পরিস্থিতিতে কারোনার আক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য প্রতিদিনের জরুরি স্বাস্থ্যগত অভ্যাসগুলো জানা থাকা জরুরি। হাত দুটো সবসময় পরিষ্কার রাখা, কাশি বা হাঁচি দেওয়ার সময় রুমাল ব্যবহার করা এবং হাতদুটো মুখমণ্ডল থেকে দূরে রাখা তথা স্পর্শ না করা। এই তিনটি প্রধান অভ্যাস রপ্ত করতে হবে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া ও ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধ করতে।
এছাড়া প্রতিদিন বাড়ি-ঘর ভালো মতো পরিষ্কার করাও জরুরি। আসুন জেনে নেওয়া যাক এমন পাঁচটি স্বাস্থ্য উপকরণের কথা যেগুলো আপনার ঘরে থাকাটা জরুরি।
১. জীবাণুনাশক হ্যান্ডওয়াশ
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বাসায় জীবাণু নাশক হ্যান্ডওয়াশ রাখা জরুরি। প্রতিবার খাবার রান্না বা তৈরি করার আগে ও পরে, খাবার খাওয়ার আগে ও পরে, বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে, বাইরে থেকে বাসায় আসার সঙ্গে সঙ্গেই জীবাণু নাশক হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ধুতে হবে। এসব কাজ ছাড়াও জীবাণুনাশক হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ধোয়ার প্রয়োজনীয়তা পড়তে পারে বারবার।
২. জীবাণুনাশক ক্লিনিং স্প্রে
রান্নাঘরের পরিবেশ স্বাস্থ্যকর রাখতে জীবাণুনাশক ক্লিনিং স্প্রে ব্যবহার জরুরি। খাবার তৈরির আগে ও পরে জীবাণুনাশক ক্লিনিং স্প্রে ব্যবহার করে রান্নাঘর পরিষ্কার করুন। যাতে কোনো রোগজীবাণু খাবারে ঢুকতে না পারে। রান্নাঘর ছাড়াও বাথরুম, লিভিং রুম, ডাইনিং রুম এবং বেডরুমও পরিষ্কার করুন জীবাণুনাশক ক্লিনিং স্প্রে দিয়ে।
৩. রাবার গ্লাভস
হাড়ি-পাতিল ধোয়া, টয়লেট পরিষ্কার বা ধুলা-ময়লা পরিষ্কার করা মতো গৃহস্থালি কাজের জন্য রাবার গ্লাভস ব্যবহার করুন।
৪. বক্সড টিস্যু
বাড়ির প্রতিটি ঘরে টিস্যু রাখুন। যাতে কাশি বা হাঁচির সময় হাত বাড়ালেই টিস্যু পাওয়া যায়।
৫. ভেজা টিস্যু, হান্ড স্যানিটাইজার এবং পকেট টিস্যু
জীবাণুনাশক ভেজা টিস্যু এবং স্যানিটাইজার ঘরে বা বাইরেও ব্যবহার করা যায়। যখন সাবান বা পানি পাওয়া যাবে না তখন এসব ব্যবহার করে জীবাণুর আক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব।