মানুষের কষ্ট বোঝার শক্তি আওয়ামী লীগের নেই: ফখরুল

Print Friendly, PDF & Email

নিউজ ডেস্ক : পানি-বিদ্যুতের দাম সামান্য বাড়ানো হয়েছে-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেছেন, তারা এমন পর্যায়ে চলে গেছেন যে তাদের লোকজনদের ঘর থেকে হাজার হাজার শত শত কোটি টাকা পাওয়া যাচ্ছে। তাদের এখন সাধারণ মানুষের দুঃখ-দুর্দশা, ব্যথা-বেদনা ও কষ্ট বোঝার শক্তিও নেই।

আজ রবিবার (১ মার্চ) রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধ জানানোর পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে মৎস্যজীবী দলের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনটির নেতাকর্মীদের নিয়ে জিয়ার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ফখরুল।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, তারা জনগণ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। জনগণের দুঃখ-দুর্দশা এখন তাদের কাছে কোন প্রশ্নই নয়। সমস্যাটা হচ্ছে এই আওয়ামী লীগ যেহেতু জনগণ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, সেজন্যই জনগণের যে ব্যথা-বেদনা দুঃখ-দুর্দশা, কষ্ট এগুলো তারা বুঝতে পারেন না। আমরা বহুবার বলেছি এই দলটি এখন ব্যাংকক্রাফট হয়ে গেছে। তারা মানুষের কষ্টটা বুঝতে পারেন না।

‘আজকে যেটাকে উনি সামান্য বলছেন, এটা যে একজন সাধারণ মানুষের জন্য কত অসামান্য সেটা বোঝার শক্তিও তার নেই। কারণ তারা এখন এমন জায়গায় পৌঁছে গেছেন যেখানে হাজার হাজার শত শত কোটি টাকা তাদের লোকজনের ঘরের মধ্যে পাওয়া যায়। তারা তো বুঝবেন না মানুষের কষ্ট। এখন বেগমগঞ্জে বাড়ি, কানাডায় বাড়ি, ইংল্যান্ডে বাড়ি, নিউইয়র্কে বাড়ি এগুলোই তাদের এখন প্রায়োরিটি। আমরা বুঝি এর জন্য জনগণ তাদের থেকে মুক্তি চায়।’

এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা আমাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করেছি এবং করছি। আমরা মনে করি, বেগম জিয়া শুধু বিএনপির নেতা নন, তিনি সমগ্র বাংলাদেশের মুক্তির নেতা। তিনি গণতান্ত্রিক মুক্তির নেতা। তার অসুস্থতা আমাদের সকলকেই অত্যন্ত উদ্বিগ্ন করেছে। গত দুই বছর ধরে আমরা তাকে একদিকে আইনগতভাবে, অন্যদিকে রাজনৈতিকভাবে মুক্ত করার চেষ্টা করছি।

তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তারা (সরকার) আটকে রেখেছে এবং রাজনৈতিক কারণে যেটা তার প্রাপ্য সেই জামিন তাকে তারা দেয়নি। তাই আমরা জনগণ ঐক্যবদ্ধ করার কাজ করছি। আমরা বিশ্বাস করি- জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্যে দিয়েই গণতন্ত্রের নেতা মুক্ত হবেন।

আজকের যে সরকার অবৈধভাবে, জনগণের ম্যান্ডেন্ট না নিয়ে অস্ত্রের জোরে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে আছে, দেশের সমস্ত গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আজকে ভেঙে দিচ্ছে এবং অত্যন্ত সচেতনভাবে বাংলাদেশকে একটা অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করছে। এই অগণতান্ত্রিক সরকারকে পরাজিত করার জন্য আমরা শপথ নিয়েছি। আর আন্দোলনের মধ্যে দিয়েই আমরা তাদের পরাজিত করবো, যোগ করেন মির্জা ফখরুল।

এ সময় মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম মাহাতাব, সদস্য সচিব আব্দুর রহিমসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।