এই ৭ খাবার যৌন ইচ্ছা কমিয়ে দেয়

Print Friendly, PDF & Email

নিউজ ডেস্ক : যেসব খাবার খেলে যৌন ইচ্ছা বাড়ে, তার তালিকা জানেন অনেকেই। কিন্তু এমন অনেক খাবার আছে যা খেলে যৌন ইচ্ছা কমতে শুরু করে। এগুলোকে বলা হয় অ্যানাফ্রোডিসিয়াক খাবার। অর্থাৎ এমন কোনো খাবার, যা আপনার শারীরিক মিলনের ইচ্ছেটাকেই কমিয়ে দেয়। তাই যৌন জীবনে সুখী থাকতে চাইলে খাবারের তালিকা থেকে এই খাবারগুলো বাদ দিন-

ক্যানড খাবার: আজকাল ব্যস্ত জীবনে ক্যানড খাবারের প্রতি নির্ভরশীল হয়ে পড়ছেন কেউ কেউ। এ ধরনের খাবারে সোডিয়ামের পরিমাণ বেশি ও পটাশিয়ামের পরিমাণ কম থাকে। এই কম্বিনেশন আপনার সেক্স অর্গ্যানে রক্তের সঞ্চালন কমিয়ে সেগুলোকে ঝিমিয়ে পড়তে বাধ্য করে। তাই ক্যানড খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন।

অ্যালকোহল: অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন আপনাকে মানসিক অবসাদের দিকে ঠেলে দেবে। পুরুষেরা বেশি অ্যালকোহলের নেশায় মজে গেলে তাদের শরীরে টেস্টোস্টেরনের মাত্রাও উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়। আর এই সবগুলোই সেক্সুয়াল ড্রাইভের মরে যাওয়ার অনুঘটক মাত্র।

চিজ: চিজ খেতে মজা লাগে নিশ্চয়ই? কিন্তু বাজারে যে প্রসেসড চিজ কিনতে পাওয়া যায় তা গরুর দুধে তৈরি হলেও তাতে মেশানো হয় নানা ধরনের গ্রোথ হরমোন এবং অ্যান্টিবায়োটিক। তাই চিজ বেশি খেলে মেয়েদের শরীরে এক ধরনের হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। এটি তাদের মধ্যে শারীরিক মিলনের ইচ্ছেকে মেরে ফেলে। এমনকী, নানা ধরনের সেক্সুয়াল ডিসফাংশনও হতে পারে চিজ বেশি খেলে। তাই চিজ খেলে একটু রয়ে-সয়ে খাবেন।

কফি: কফির অসংখ্য উপকারিতা যেমন আছে, আছে অপকারিতাও। এটি আমাদের শরীরে অ্যাড্রিনাল গ্ল্যান্ডগুলিকে সক্রিয় করে নানা ধরনের স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ বাড়ায়। এই ধরনের হরমোন আবার সেক্স হরমোন ও থাইরয়েডের ব্যালান্সে তারতম্য ঘটিয়ে যৌন ইচ্ছা একদমই কমিয়ে দেয়।

সয়া: সয়াবিনের মধ্যে থাকা একটি উপাদান আমাদের শরীরে হরমোনাল ইমব্যালান্স তৈরির জন্য দায়ী। আপনি যদি অতিরিক্ত মাত্রায় এই খাবারটি খান, তাহলে আপনি নারীই হোন কিংবা পুরুষ, যৌন ইচ্ছা কমতে বাধ্য।

পুদিনা: পুদিনা শরীর ঠান্ডা করে আর ঠান্ডা শরীরে সেক্স ড্রাইভ বাড়বে, এমন কথা কেউ কখনও শুনেছে? তা ছাড়া পুদিনার মেন্থল শরীরে টেস্টোস্টেরনের ক্ষরণও কমিয়ে দেয়।

কর্নফ্লেক্স: জন হার্ভি কেলগ, যিনি বিশ্ববিখ্যাত কেলগ’স কর্নফ্লেক্স তৈরি করেছিলেন, তিনি আসলে পুরুষদের সেক্স ড্রাইভ কমানোর জন্য এটি তৈরি করেন? কর্নফ্লেক্সে থাকা চিনি আসলে টেস্টোস্টেরনের ক্ষরণ কমিয়ে দেয়। ফলে কমে আসে সেক্স ড্রাইভও।