নিউজ ডেস্ক : মরণব্যাধী এইডস প্রতিরোধে দীর্ঘদিন ধরেই চেষ্টা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তবে এখনও আশানুরূপ ফলাফল আসেনি। সম্প্রতি তাদের নতুন ভ্যাকসিনের প্রাথমিক পরীক্ষার ফলাফলেও মিলেছে হতাশা। এইচআইভি (হিউম্যান ইমিউনো ডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস) নির্মূলে কার্যকারিতা দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এর পরীক্ষামূলক ব্যবহার।
দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষের ওপর এই ভ্যাকসিনের পরীক্ষা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের দ্য ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (এনআইএআইডি)। স্বাধীন তথ্য এবং সুরক্ষা নিরীক্ষণ বোর্ড এইচআইভি প্রতিরোধে ভ্যাকসিনটি অকার্যকরের প্রমাণ পাওয়ায় সোমবার এর ব্যবহার বন্ধ ঘোষণা করেছে। তবে ভ্যাকসিন ব্যবহারে কোনও ঝুঁকির শঙ্কা জানায়নি এনআইএআইডি।
সংস্থাটির পরিচালক ড. অ্যান্হনি ফসি এক লিখিত বিবৃতিতে বলেছেন, বিশ্বব্যাপী এইচআইভি নির্মূলে একটি ভ্যাকসিন খুবই দরকার। আমরা আশা করেছিলাম, এটি কাজ করবে। দুঃখজনকভাবে তা হয়নি। নিরাপদ ও কার্যকর এইচআইভি ভ্যাকসিন আবিষ্কারের অন্য গবেষণা চলবে। আমি বিশ্বাস করি, এটা অর্জন সম্ভব।
পৃথক এক বিবৃতিতে নতুন প্রতিষেধকটির গবেষণা বন্ধ করাকে ‘গভীর হতাশাজনক’ বলে উল্লেখ করেছে গ্লোব্যাল এইচআইভি ভ্যাকসিন এন্টারপ্রাইজ। এটি মূলত এইচআইভির ভ্যাকসিন গবেষণায় অর্থের জোগানদাতা ও অংশীদারদের একটি জোট।
২০১৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার ১৪টি স্থানে ৫ হাজার ৪০৭ জন স্বেচ্ছাসেবীর ওপর এইচভিটিএন ৭০২ বা উহাম্বো নামের এই পরীক্ষা শুরু হয়। স্বেচ্ছাসেবীরা সবাই ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী নারী-পুরুষ। তাদের দু’টি পদ্ধতিতে এইচআইভি প্রতিরোধী ভ্যাকসিন দেয়া হয়। কিন্তু কোনও ক্ষেত্রেই ভ্যাকসিনটির কার্যকারিতা দেখা যায়নি। ভ্যাকসিন গ্রহণ সত্ত্বেও দুইপক্ষের প্রায় তিনশ’ জন এইচআইভি আক্রান্ত হয়েছেন।
এনআইএআইডি ইতোমধ্যে স্বেচ্ছাসেবীদের জানিয়ে দিয়েছে, তাদের ওপর চালানো পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। তবে গবেষকরা তাদের নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করবেন।
সূত্র: সিএনএন