নিউজ ডেস্ক : চীনের উহান শহরের জীবজন্তুর বাজার থেকে নোবেল করোনা ছড়িয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যেহেতু আমরা জীবজন্তু খাই না তাই ভয়ের কিছু নেই। চায়নারা সাপ-বাদুরের স্যুপ খাচ্ছে। জীবজন্তু থেকে মানুষের দেহে এসেছে। এখন মানুষ থেকে মানুষের দেহে এসেছে। তাই সর্দি কাশি হলেই করোনা ভাইরাস নয়, তবে আমাদের শতর্ক থাকতে হবে।
সোমবার ৩ জানুয়ারি বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন ‘বিএমএ’ আয়োজিত নোবেল করোনা ভাইরাস ২০১৯-২০২০ প্রেক্ষাপট -বাংলাদেশ, সচেতনতা ও করনীয় বৈজ্ঞানিক সেমিনারে শহীদ ডা. শামসুল আলম মিলন সভাকক্ষ, বিএমএ ভবনে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, মাস্ক আসলে প্রয়োজন নেই। তবে চায়না থেকে আগতদের পরতে হবে। করোনা ভাইরাসে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, চীনের উহান থেকে আরও ১৭১ জন বাংলাদেশি দেশে ফেরার আবেদন জানিয়েছে, সরকার স্বাস্থ্যগত সনদ নিয়ে তাদেরকে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আসতে হবে। এছাড়া উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশী নাগরিকদের চীন সফরের বিষয়টিকে সরকার নিরুৎসাহিত করছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চীনের যেসব নাগরিক বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করছেন তারা নজরদারিতেই আছেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান-আইইডিসিআর এর পরিচালক মীরজাদি সাবরিনা ফ্লোরা জানান, চীনের উহান থেকে ফেরত আসা ৩১২ বাংলাদেশির কারো শরীরেই করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। এসময় করোনা সনাক্তে আইইডিসিআরের নেয়া পদক্ষেপ সম্পর্কেও কথা বলেন তিনি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শুধুমাত্র করোনার সংক্রমন থেকে বাঁচতে এই মুহুর্তে বাংলাদেশে মাস্ক ব্যবহারের কোন প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের সাবেক ডীন ডাক্তার এবিএম আব্দুল্লাহ ।
নোবেল করোনা ভাইরাস সম্পর্কিত সচেতনতা ও করণীয় বিষয়ে বিকেলে যৌথভাবে ওই সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন ও জনস্বাস্থ্য বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন হেলথ জার্নালিস্ট ফোরাম। বিমএ সভাপতি ডাক্তার মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারনাল মেডিসিনি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাক্তার মোহাম্মদ নাজমুল হাসান।