নিউজ ডেস্ক : আমাদের দেশে এখনো করোনা ভাইরাসের রোগী পাওয়া যায়নি। তবে এই ভাইরাস মোকাবেলায় এরই মধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, দোয়া করি এই ভাইরাস যেন আমাদের দেশে না আসে। যদি কোনো কারণে চলে আসে তবে আতঙ্কিত হবার কিছু নেই। কারণ এই ভাইরাস মোকিবেলায় সরকারের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ফোরাম-২০২০ এর অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলে তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিমানবন্দরগুলোতে স্ক্যানার বসানো হয়েছে। বিভিন্ন হাসপাতালে করোনা ভাইরাস চিকিৎসায় আইসোলেশন ওয়ার্ড করা হয়েছে। রাজধানী থেকে শুরু করে জেলা শহরের হাসপাতালগুলোতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর উদ্দেশ্য হলো করোনা ভাইরাসের রোগী পাওয়া গেলে তাকে যেন দ্রুত চিকিৎসা দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, চীন থেকে যেসব ফ্লাইট বাংলাদেশে আসছে বিশেষ করে সেসব যাত্রীদের দিকে আমরা লক্ষ্য রাখছি। এসব যাত্রীদের এয়ারপোর্টেই স্ক্যানিং করা হচ্ছে। একই সঙ্গে তাদের একটি ফরম পূরণ করানো হচ্ছে এবং তাদের কার্ড রাখা হচ্ছে। যাতে পরবর্তীতে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়।
জাহিদ মালেক বলেন, চাইনিজরা বাংলাদেশের যেসব প্রজেক্টে কাজ করছেন সেখানেও আমরা বিশেষ নজর রেখেছি। সেখানেও আমাদের নির্দেশনা পাঠিয়েছি। কারণ চাইনিজদের অনেকেই নতুন বছরে নিজ দেশে গেছেন। তারা আবার বাংলাদেশে আসবেন। সুতরাং বিদেশ থেকে যারা ফিরে আসছেন তাদের প্রতি আমাদের বিশেষ নজর রয়েছে।
অন্যান্য দেশ চীনের সঙ্গে আকাশপথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে, বাংলাদেশে এমন কোনো সিদ্ধান্ত হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের দেশ থেকে চায়না ভ্রমণে কোন রেস্ট্রিকশন এখনো করিনি। প্রয়োজন না থাকলে এখন চায়নাতে না যাওয়াই ভালো। এমনটি আমরা বলে আসছি। একই সঙ্গে চায়না থেকেও আমাদের দেশে আসতে এই মুহূর্তে আমরা নিরুৎসাহিত করছি।
চীনে থাকা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের দেশে ফেরা প্রসঙ্গে জাহিদ মালেক বলেন, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা অলরেডি চীনা সরকারের আইসোলেশনে আছেন। চীন সরকার তাদের রেস্ট্রিকশন তুলে নিলেই বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা দেশে আসতে পারবেন।