নিউজ ডেস্ক : প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, বিএনপি বলেছে তাদের প্রার্থীদের পুলিশ হয়রানি করছে। তবে সেরকম হয়রানির মতো কোনো আলামত আমরা দেখিনি।
আজ সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নির্বাচন ভবনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, গোপীবাগের ঘটনায় বিএনপি বলছে তাদের মামলা নেয়নি। পরে আমি ওসির সঙ্গে কথা বললাম সেখানে বসেই। ওসি বললেন তারা আমাদের কাছে আসেনি, মামলা দেয়নি। আওয়ামী লীগ মামলা করেছে সেটাও তারা বলেছে।
‘ক্রিমিনাল অফেন্স থাকলে মামলা তো যে কোনো সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিই করতে পারে। সেটা আইনগত বিষয়।’
আওয়ামী লীগের অভিযোগের বিষয়ে কে এম নুরুল হুদা বলেন, আওয়ামী লীগ গতকালের ঘটনার জন্য বিএনপিকে দায়ী করেছে। তাদের বক্তব্য এই সুযোগে বিভিন্ন জায়গা থেকে সন্ত্রাসী দল ঢাকায় ঢুকে পড়বে। তারা নির্বাচন প্রক্রিয়া ব্যাহত করবে, আমরা যেনো ব্যবস্থা নেই। আমরা বলেছি নির্দিষ্ট যদি কোনো অভিযোগ থাকে সেটা বলতে হবে। আর যদি কোনো ক্রিমিনাল অফেন্স থাকে সে অনুসারে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিকে আইনগত সহযোগিতা করা হবে।
এ ধরনের ঘটনা সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্তরায় কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অবশ্যই এ ধরনের ঘটনা নির্বাচনের প্রতি নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, এগুলো না ঘটাই উচিত। আমরা সব সময়ই বলি এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না। আমরা সবসময়ই বলি যাতে তারা সহনশীলতার সঙ্গে কাজ করে। আমি বিশ্বাস করি তারা সহনশীলতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেও। দুটো ঘটনা ঘটেছে এতো বড় শহর, এটা নির্বাচনকে বানচাল করা, ব্যাহত করা বা বিনষ্ট করার কোনো কারণ ঘটেনি।
একই ঘটনায় দুই দল অভিযোগ দিয়েছে, নির্বাচন কমিশনের কাছে কি মনে হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ক্রিমিনাল অফেন্সের বিষয়ে তো আমরা কিছু বলতে পারি না। তবে স্থানীয়ভাবে তো আমরা তদন্ত করতে পারি, সেটি করতে একটু সময় লাগে। রিটার্নিং অফিসার, ওসি ও ম্যাজিস্ট্রেটকে নিয়োগ করেছি, প্রতিবেদন এখন পর্যন্ত আসেনি। আসলে কোনো প্রার্থী জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্য কেউ জড়িত থাকলে ক্রিমিনাল অফেন্স অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভোটের দিন আইনশৃঙ্খলা অবনতির আশঙ্কা নেই বলেও জানান কে এম নুরুল হুদা।