পিকে হালদারসহ ২০ জনের হিসাব-পাসপোর্ট জব্দের নির্দেশ

Print Friendly, PDF & Email

নিউজ ডেস্ক : এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদারসহ ২০ জনের ব্যাংক হিসাব ও পাসপোর্ট জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে এই ২০ জনের সম্পদের হিসাব ১৫ দিনের মধ্যে আদালতে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের কোম্পানি ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের স্বাধীন পরিচালক ও চেয়ারম্যান হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর ইব্রাহিম খালেদকে নিয়োগ দিয়েছেন আদালত।

প্রশান্ত কুমারের বিরুদ্ধে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডসহ কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাত এবং সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি ও বিদেশ ওই অর্থ পাচার করার অভিযোগ রয়েছে।

একইসঙ্গে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের কোম্পানি ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেড পরিচালনার জন্য স্বাধীন পরিচালক ও চেয়ারম্যান হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ইব্রাহিম খালেদকে নিয়োগ দিয়েছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশিদ আলম সরকারের একক বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শাহরিয়ার কবির, কোম্পানির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন।

প্রশান্ত কুমার হালদার ছাড়াও যাদের ব্যাংক হিসাব ও পাসপোর্ট জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তারা হলেন- কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. নুরুল আলম, পরিচালক জহিরুল আলম, এমএ হাশেম, নাসিম আনোয়ার, বাসুদেব ব্যানার্জী, পাপিয়া ব্যানার্জী, মমতাজ বেগম, নওশেরুল ইসলাম, আনোয়ারুল কবির, প্রকৌশলী নরুজ্জামান, আবুল হাশেম, মো. রাশেদুল হক, পি কে হালদারের মা লীলাবতী হালদার, স্ত্রী সুস্মিতা সাহা, ভাই প্রিতুষ কুমার হালদার, চাচাতো ভাই অমিতাভ অধিকারী, অভিজিৎ অধিকারী, ব্যাংক এশিয়ার সাবেক পরিচালক ইরফান উদ্দিন আহমেদ এবং পি কে হালদারের বন্ধু উজ্জ্বল কুমার নন্দী।

এমএম স্ট্রাকচারাল লিমিটেড কোম্পানি ৮ কোটি টাকার দাবিতে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার শুনানি নিয়ে আদালত আজ এ আদেশ দেন। এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য ২ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করেছেন আদালত।

প্রসঙ্গত, প্রশান্ত কুমার হালদারের বিরুদ্ধে তিন হাজার ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ ওঠে। এছাড়া দেশব্যাপী ক্যাসিনো অভিযানের ধারাবাহিকতায় তার বিরুদ্ধে প্রায় ২৭৫ কোটি টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। এই ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ বাদী হয়ে মামলা করেন।