আধুনিক রাজধানী গড়তে আতিক-তাপসকে ভোট দেওয়ার আহ্বান

Print Friendly, PDF & Email

নিউজ ডেস্ক : আধুনিক, মাদকমুক্ত সবুজ রাজধানী গড়তে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রপ্রার্থী আতিকুল ইসলাম ও দক্ষিণ সিটিতে মেয়রপ্রার্থী ফজলে নূর তাপসকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে আতিক-তাপস সমর্থক গোষ্ঠী আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, যদি আমরা আধুনিক ঢাকা চাই তাহলে কাকে দিয়ে সম্ভব সেটি বিবেচ্য। আমরা সমর্থকগোষ্ঠী আতিকুল ইসলাম ও ফজলে নূর তাপসের সঙ্গে আলোচনা করেছি। মূলত যানজটহীন, বর্জ্যমুক্ত, দূষণমুক্ত পরিষ্কার ঢাকা মহানগরী আমাদের দাবি। তারা এ বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন।

‘তারা বলেছেন, নির্বাচিত হলে তারা ঢাকাকে সবুজ নগরী হিসেবে গড়ে তোলার পাশাপাশি প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি খেলার মাঠ দেবেন। আমরা বলেছি, মহানগরীকে সংস্কৃতিবান্ধব করে তুলতে কমিউনিটি সেন্টার, স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নিতে হবে, জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল পুনরুদ্ধার করতে হবে, চারটি নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে হবে এবং সার্কুলার নৌরুট চালু করতে হবে।’

বক্তারা বলেন, মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত সবুজ নগরী গড়তে যারা নির্বাচিত হবেন তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এই ঢাকা নগরীতে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ দিয়েছেন ৯৩ হাজার সৈন্য নিয়ে পাকিস্তান আত্মসমর্পণ করেছে। তাই এই নগরীতে স্বাধীনতাবিরোধীদের মেয়র হিসেবে নির্বাচিত করতে আমরা পারি না।

বক্তারা আরও বলেন, ইতোমধ্যে আমরা সাবেক মেয়র আতিকের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার পরিচয় পেয়েছি। তিনি সম্ভ্রান্ত পরিবারের সদস্য। এছাড়া তাপসের সমর্থনের প্রধান কারণ তিনি বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য। তার বাবা মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তাই তাকে সমর্থন করা আমাদের কর্তব্য।

এসময় বক্তারা মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে বৃহৎ আকারে সমাবেশ ও সমাবেশ পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়ার কথা জানান।

ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক কূটনৈতিক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক, মো. রফিকুল আনোয়ার, লোকমান হোসেন, জাকির হোসেন সোহেল, শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া, শাহাবুদ্দিন আহমেদ মিজানুর রহমান প্রমুখ।