নিউজ ডেস্ক : যার ফেইসবুক হ্যাকড হওয়ার পর ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে ভোলার বোরহানউদ্দিনে সহিংসতা ঘটানো হয়েছে, সেই বিপ্লবচন্দ্র বৈদ্য শুভসহ পাঁচজনকে দুই মামলায় রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার সকালে অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ মো. সানাউল হক তাদের প্রত্যেকের জন্য তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, আদালতে পৃথক পৃথক মামলায় পুলিশ তাদের হাজির করে দুই মামলায় সাত দিন করে রিমান্ডের আবেদন করলে পাঁচজনকে তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।”
ভোলা সদর আদালতের কোর্ট ইনসপেক্টর রথীন্দ্র নাথ বিশ্বাস জানান, ‘ধর্ম অবমাননার’ ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলায় বিপ্লব চন্দ্র শুভ, শরীফ ওরফে শাকিল ও ঈমনকে এবং গত রোববার পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আরিফ ও সজীবকে তিনদিনের রিমান্ডে দেয় আদালত।
পুলিশের উপর হামলার মামলায় আটক আরিফ (২০) উপজেলার কুতুবা গ্রামের আকবর হাওলাদারের ছেলে এবং সজিব ওই এলাকার মুনফ চৌকিদারের ছেলে। তাদের গত বুধবার সন্ধ্যায় বোরহানউদ্দিন পৌর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক।
বিপ্লবের আইডি হ্যাকে জড়িত থাকার অভিযোগে শরীফ শাকিল ও ঈমনকে আগেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ। স্থানীয় ধর্মভিত্তিক নেতাদের দাবির মুখে হেফাজতে থাকা বিপ্লব চন্দ্র শুভকেও গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
বিপ্লব চন্দ্র বৈদ্য শুভ নামের এক যুবক গত শুক্রবার রাতে বোরহানউদ্দিন থানায় গিয়ে তার ফেইসবুক আইডি হ্যাকারের কবলে পড়েছে বলে একটি জিডি করেন। তবে তার আইডি থেকে মেসেঞ্জারে পাঠানো ‘ধর্ম অবমাননাকর’ ব্ক্তব্যর ‘স্ক্রিনশট’ ফেইসবুকে ছড়ালে উত্তেজনা দেখা দেয়।
এর পরের রোববার শুভর বিচারের দাবিতে বোরহানউদ্দিন ঈদগাহ ময়দানে ‘মুসলিম তৌহিদি জনতা’র ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় সংঘর্ষে চারজন নিহত এবং শতাধিক আহত হয়।
“আমরা এখন সেই সংঘর্ষের ভিডিও ফুটেজ দেখে আসামি সনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি ”, বলেন ভোলার পুলিশ ।