নিউজ ডেস্ক : ক্রিকেটারদের ১১ দফা দাবি জানানো, ধর্মঘটে যাওয়া সম্পর্কে আগে থেকে কিছুই জানতেন না বলে জানালেন মাশরাফি বিন মোর্তজা। তবে সবগুলি দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক জানিয়েছেন, তার উপস্থিত থাকা বা না থাকার চেয়ে দাবি আদায় অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
সোমবার দুপুরে মিরপুর একাডেমি মাঠে ক্রিকেটারদের ১১ দফা দাফি ঘোষণার সময় মাশরাফির অনুপস্থিতি জন্ম দিয়েছিল অনেক প্রশ্নের। নিজেদের দাবির কথা জানানোর পর প্রশ্নোত্তর পর্বের খুব বেশি সুযোগ ছিল না সংবাদ সম্মেলনে, মাশরাফির না থাকার প্রসঙ্গ তাই তখন উত্থাপনের সুযোগ ছিল না।
তবে ওয়ানডে অধিনায়কের না থাকা নিয়ে জল্পনা চলছিল অনেক। যদিও গত বিশ্বকাপের পর থেকে মিরপুর স্টেডিয়ামে তাকে দেখা গেছে কদাচিৎ। আগামী মে মাসের আগ পর্যন্ত সূচিতে বাংলাদেশের ওয়ানডে ম্যাচ নেই বলে মাশরাফিও দীর্ঘদিন নেই ক্রিকেটের সংস্পর্শে। তারপরও ক্রিকেটারদের এমন পদক্ষেপের দিনে তার না থাকা অবাক করেছিল অনেককেই।
রাত সাড়ে ১১টার একটু পর নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পাতায় নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন মাশরাফি।
“অনেকেই প্রশ্ন করছেন যে, দেশের ক্রিকেটের এমন একটি দিনে আমি কেন উপস্থিত ছিলাম না। আমার মনে হয়, প্রশ্নটি আমাকে না করে, ওদেরকে করাই শ্রেয়। এই উদ্যোগ সম্পর্কে আমি একদমই অবগত ছিলাম না। নিশ্চয়ই বেশ কিছু দিন ধরেই এটি নিয়ে ওদের আলোচনা ছিল, প্রক্রিয়া চলছিল। কিন্তু এ সম্পর্কে আমার কোনো ধারণাই ছিল না। সংবাদ সম্মেলন দেখে আমি ওদের পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে পেরেছি।”
“মিডিয়ায় ওদের খবর দেখার পর থেকে হাজারবার আমার মাথায় এই প্রশ্ন এসেছে, যে কেন আমাকে জানানো হলো না। অনেকে আমার কাছে জানতেও চেয়েছেন। কিন্তু আমি নিজেও জানি না, কেন জানানো হয়নি।”
ক্রিকেটারদের বেতন-ভাতা বাড়ানোসহ আরও নানা দাবিতে আগে বেশ কবারই বিসিবির সঙ্গে কথা বলা বা দেন দরবারে অগ্রণী ছিলেন মাশরাফি। সেটি মনে করিয়ে দিয়ে বর্তমান দাবির সঙ্গে একাত্মতা জানালেন, প্রত্যয় জানালেন পাশে থাকার।
“ক্রিকেটারদের নানা দাবির সঙ্গে আমি আগেও একাত্ম ছিলাম, এখনও আছি। আজকের পদক্ষেপ সম্পর্কে আগে থেকে জানতে পারলে অবশ্যই আমি থাকতাম।”
“তবে আমার উপস্থিত থাকা কিংবা না থাকার চেয়ে, ১১ দফা দাবি বাস্তবায়িত হওয়াই বড় কথা। সবকটি দাবিই ন্যায্য, ক্রিকেট ও ক্রিকেটারদের মঙ্গলের জন্য জরুরি। আমি মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা, ১১ দফা দাবির পক্ষে আছি, থাকব।”