নিউজ ডেস্ক : গত চার মাসের মধ্যে তেলের দাম সবচেয়ে বেড়ে গেছে। শনিবার সৌদির দুটি তেলক্ষেত্রে হামলার পর থেকেই আশঙ্কা করা হচ্ছিল যে, তেলের দাম বাড়তে পারে। সোমবার তেলের দাম ১০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে বলে এএফপির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এক বিবৃতিতে সৌদির জ্বালানি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সৌদির দুই তেলক্ষেত্রে হামলার কারণে প্রতিদিনের তেল উৎপাদন কমেছে ৫০ লাখ ব্যারেল। এটা সৌদির তেল উৎপাদনের অর্ধেক এবং বিশ্বের মোট উৎপাদনের প্রায় ৫ শতাংশ। কতদিনের মধ্যে এই অবস্থার পরিবর্তন হবে তা এখনও নিশ্চিত নয়।
সৌদির তেলক্ষেত্রে হামলার ঘটনার জন্য ইরানকেই দায়ী করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি ইরানে সম্ভাব্য সামরিক হামলার হুঁশিয়ারিও ব্যক্ত করেছেন। তবে সৌদির তেলক্ষেত্রে হামলার কথা অস্বীকার করেছে তেহরান।
শনিবার সৌদির পূর্বাঞ্চলে রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত তেল উৎপাদন প্রতিষ্ঠান সৌদি অ্যারামকোর দুটি স্থাপনায় ড্রোন হামলার ফলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আবকাইক এবং খুরাইস এলাকায় অবস্থিত ওই স্থাপনাগুলোতে হামলা চালানো হয়। এর ফলে সৌদি তেল উৎপাদন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা ওই হামলা চালিয়েছে। প্রায় পাঁচ বছর ধরে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট ইয়েমেনের সংঘাতে জড়িয়ে আছে। এর ফলে দীর্ঘদিন ধরেই সৌদিতে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে হুতি বিদ্রোহীরা।
ওই হামলা সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানায়নি সৌদি। এমনকি এই ঘটনায় হতাহতের বিষয়টিও নিশ্চিত করা হয়নি। তবে এর ফলে তেল উৎপাদন অনেক কমে গেছে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল রফতানিকারক দেশ সৌদি। প্রতিদিন দেশটি ৭০ লাখের বেশি ব্যারেল তেল রফতানি করে থাকে।