৪ ঘণ্টা পর তেজগাঁওয়ে যান চলাচল শুরু

Print Friendly, PDF & Email

নিউজ ডেস্ক : রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে সাতরাস্তা মোড়ে পোশাক শ্রমিকদের অবরোধের কারণে বন্ধ ছিল যান চলাচল। দীর্ঘ সময় অবরোধের কারণে আশাপাশ এলাকায় থেমে যায় যানবাহনের চলাচল। সৃষ্টি হয় যানজটের। তবে দীর্ঘ ৪ ঘণ্টা পর ফের চলছে যান।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক উত্তর বিভাগের তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) হামিদুল হক বিশ্বাস বলেন, সপ্তাহের শেষ দিন হওয়ায় এমনিতেই সড়কে যানবাহনের চাপ সামাল দিতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। সেখানে সকাল ৯টা থেকে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করছিল একটি গার্মেন্টেসের শ্রমিকরা। ক্রাইম ডিভিশন ও ট্রাফিক পুলিশের চেষ্টায় গার্মেন্টস শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরানো গেছে। দুপুর পৌনে ১টা থেকে রাস্তায় যান চলাচল ফের শুরু হয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত অবস্থানের পর বৃহস্পতিবার ভোর থেকে আবারও সড়কে অবস্থান নেন শ্রমিকরা। সকালে পোশাক শ্রমিক ও পুলিশ মুখোমুখি অবস্থানে ছিল। প্রথমে তাদের অবস্থান ছিল তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের লাভ রোডে। পরে সকাল ৯টার দিকে তারা মূল সড়ক অবরোধ করে দাঁড়িয়ে যান। এরপর শুরু হয় যানজট।

শ্রমিকদের অবরোধের কারণে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের সাতরাস্তা মোড়, মগবাজার, অপরদিকে মহাখালীর সড়ক, ও বিজয়সরণি থেকে ওভারপাস হয়ে লাভ রোড, নাবিস্কু সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়েন অফিসগামী কর্মজীবী ও স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় সরেজমিন দেখা যায়, বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা মূল সড়ক ছাড়লেও বিক্ষোভ বন্ধ করেননি। গলির মুখে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ করছেন তারা। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা জানিয়েছেন, গার্মেন্টসে নিয়মবহির্ভূত শ্রমিক ছাঁটাই ও নির্যাতনের প্রতিবাদে তাদের এই অবস্থান।

এর আগে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ওসি আলী হোসেন বলেন, বুধবার রাত ১১টার পর শ্রমিকরা গার্মেন্টসের আশপাশে অবস্থান নেন। উত্তেজিত শ্রমিকরা গার্মেন্টসে ভাঙচুর করতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। গত দু’দিন শ্রমিক ছাঁটাই নিয়ে তাদের এই অসন্তোষ। সকাল থেকে তারা আবারও সড়কে অবস্থান নেন।

জাহাঙ্গীর হোসেন নামে নাসা গার্মেন্টসের এক শ্রমিক বলেন, বেতনসহ অন্যান্য আর্থিক সুবিধা পরিশোধ না করেই আমাদের ছাঁটাই করা হয়েছে। অনেকে ছাঁটাইয়ের পর গার্মেন্টস থেকে বের না হতে চাইলে তাদের মারধর করা হচ্ছে।