নিউজ ডেস্ক : আবারও স্টিভেন স্মিথ এবং তার ব্যাটে চড়ে শেষ রক্ষা অস্ট্রেলিয়ার। প্রথম ইনিংসের মত দ্বিতীয় ইনংসেও ব্যাট হাতে সাবলীল স্মিথ। প্রথম ইনিংসে করেছিলেন ডাবল সেঞ্চুরি। দ্বিতীয় ইনিংসে যখন অসি ব্যাটসম্যানরা একের পর এক খেই হারিয়ে ফেলছিল, তখন ব্যাট হাতে প্রতিরোধ গড়ে দাঁড়ান এবং ৮২ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে অস্ট্রেলিয়াকে লড়াইয়ে ধরে রাখেন।
তবে চতুর্থ দিন শেষ হওয়ার খানিক আগেই ইংল্যান্ডকে ক্রিজ ছেড়ে দেন অসি অধিনায়ক টিম পেইন। ৬ উইকেটে ১৮৬ রানে থাকতেই দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করেন তিনি। ফলে দ্বিতীয় ইনিংসে জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৮৩ রান। এই লক্ষ্য তাড়া করতে হবে মাত্র একদিনে, তাও ইতিহাস সৃষ্টি করে।
ইংল্যান্ডের জন্য ইতিহাস সৃষ্টি করা এখন যেন কোনো ব্যাপারই নয়। বিশেষ করে হেডিংলিতে বেন স্টোকসের ব্যাটে যেভাবে অবিশ্বাস্যভাবে জিতে গিয়েছিল ইংলিশরা, এরপর থেকে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, এবার পর্যাপ্ত সময় নেই হাতে। হয় অস্ট্রেলিয়া জিতবে টেস্ট, নয়তো ড্র হবে। ইংল্যান্ডের জয়ের সম্ভাবনা একেবারেই কম।
এ পরিস্থিতিতে ইংল্যান্ডের ড্র করার চিন্তা ছাড়া আর উপায়ও নেই। কিন্তু চতুর্থ দিনের শেষ মুহূর্তে মাত্র ৭ ওভার ব্যাটিং করতে গিয়ে ২ উইকেট হারিয়ে বসেছে ইংল্যান্ড। প্যাট কামিন্সের গতি আর বাউন্সারে বিভ্রান্ত হয়ে স্কোরবোর্ডে কোনো রান যোগ করার আগেই ওপেনার ররি বার্নস এবং অধিনায়ক জো রুটের উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। ররি বার্নস তো তিন বল মোকাবেলা করেছেন। কোনো রান করতে পারেননি। জো রুটের গোল্ডেন ডাক।
অথচ এই দুই ব্যাটসম্যানই প্রথম ইনিংসে প্রতিরোধ গড়ে দাঁড়িয়েছিলেন। একজন একজন ৮১ এবং অন্যজন করেছিলেন ৭১ রান। সেই দু’জনই আউট হলেন কোনো রান না করেই। পরপর দুই বলে দুই প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়া ইংল্যান্ডের হাল ধরেছেন আরেক ওপেনার জো ড্যানলি এবং চার নম্বরে নামা জেসন রয়। ড্যানলি ১০ এবং রয় ব্যাট করছেন ৮ রান নিয়ে। দলীয় সংগ্রহ ১৮। এখনও ৩৬৫ রান পিছিয়ে ইংল্যান্ড। হাতে আছে ৮ উইকেট এবং পুরো একদিন।