চট্টগ্রামের সঙ্গে ৯ জেলার যোগাযোগ বন্ধ

Print Friendly, PDF & Email

নিউজ ডেস্ক : পরিবহন ধর্মঘটের কারণে চট্টগ্রামের সঙ্গে কক্সবাজার, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান, নোয়াখালী, কুমিল্লা, ফেনী, লক্ষ্মীপুর জেলায় যাত্রী ও পণ্যবাহী সব ধরনের গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে।
রবিবার ভোর থেকে চট্টগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চাঁদপুর ছাড়া বাকি নয় জেলায় এই ধর্মঘট কর্মসূচি শুরু হয়।
৭২ ঘণ্টার সময়সীমা পার হওয়ায় অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে গেছে গণ ও পণ্য পরিবহন মালিক ঐক্য পরিষদ। নয় দফা দাবি মেনে নিতে গত ৪ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে এই সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল সংগঠনটি।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় গণ ও পণ্য পরিবহন মালিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মঞ্জুরুল আলম বলেন, আমাদের নয় দফা মেনে নিতে প্রশাসনকে ৭২ ঘণ্টার সময় দিয়েছিলাম। প্রশাসন সাড়া দেয়নি। তাই অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হয়েছি।
এদিকে, এ দাবি অযৌক্তিক ও বেআইনি বলে ঘোষণা দিয়েছে চট্টগ্রাম বাস মিনিবাস হিউম্যান হলার মালিক সমিতি। তারা ধর্মঘট প্রত্যাখ্যান করায় নগরে সীমিত সংখ্যক গণপরিবহন চলাচল করছে।
চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু গণমাধ্যমকে বলেন, ৯ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম বিভাগের ১৪টি সংগঠন এ ধর্মঘট পালন করছে। প্রশাসন আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। একজন প্রতিনিধি ঠিক করা হয়েছে। রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকাল তিনটায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে।
গণ ও পণ্য পরিবহন মালিক ঐক্য পরিষদ সূত্র জানায়, তাদের ৯ দফা দাবি হলো- গণ ও পণ্য পরিবহনের কাগজপত্র হালনাগাদ করার জন্য জরিমানা মওকুফ করা, জরিমানা মওকুফের সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত কাগজপত্র যাচাই বাছাইয়ের নামে হয়রানি বন্ধ করা, বিআরটিএ ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক ভোক্তা অধিকার আইন প্রয়োগ করে গণ ও পণ্য পরিবহনে কোনও অতিরিক্ত জরিমানা আদায় না করা, হাইওয়ে ও থানা পুলিশ কর্তৃক গাড়ি জব্দ ও রিকুইজিশন বন্ধ করা, চট্টগ্রাম মেট্টো-এলাকায় গাড়ির ইকোনোমিক লাইফের অজুহাত দেখিয়ে ফিটনেস ও পারমিট নবায়ন বন্ধ না রাখা, ট্রাফিক পুলিশ কর্তৃক যান্ত্রিক ক্রুটিযুক্ত গাড়ি ছাড়া অন্যকোন অজুহাত দেখিয়ে গণ ও পণ্য পরিবহন টু বা ডাম্পিং না করা, ড্রাইভার কর্তৃক চালিত গাড়ির রেকার ভাড়া আদায় না করা, সহজ শর্তে চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করা ও কাগজপত্র হালনাগাদের ক্ষেত্রে বিআরটিএর কার্যক্রমে ভোগান্তি বন্ধ করা।