নিউজ ডেস্ক : সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় আতিয়া মহলে সেনাবাহিনীর জঙ্গিবিরোধী অভিযান ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’ চলাকালে বোমা বিস্ফোরণ ও সাতজন নিহত হওয়ার ঘটনায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ‘নব্য জেএমবির’ তিন সমস্যের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
শনিবার দুপুরে সিলেটের মহানগর হাকিম আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিলেটের পিবিআই পরিদর্শক আবুল হোসেন এ অভিযোগপত্র জমা দেন।
অভিযুক্ত তিনজন হলেন- বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছডি উপজেলার উত্তর বাইশারি যৌথ খামার এলাকার নূরুল আলমের ছেলে জহিরুল হক জসিম (২৬), তার স্ত্রী আর্জিনা ওরফে রাজিয়া (১৯) ও বাইশারি ঘোড়ামারা এলাকার নূর হোসেনের ছেলে মো. হাসান (২৫)।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৩ মার্চ রাত থেকে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি এলাকায় আতিয়া মহলে জঙ্গিবিরোধী অভিযান শুরু হয়। প্রতিদিনই বাড়তে থাকে অভিযানের তীব্রতা। ২৫ মার্চ রাত থেকে চূড়ান্ত অভিযান শুরুর ঘোষণা দেয়া হয়। ওই দিন সন্ধ্যা ৭টায় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে অভিযান সম্পর্কে গণমাধ্যমকর্মীদের ব্রিফ করা হয়।
ব্রিফ শেষে যখন সাংবাদিকরা ফিরছিলেন তখন আতিয়া মহলের কাছাকাছি একটি মাদরাসার সড়কের মাথায় পরপর দুটি শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণ হয়। এতে নিহত হন র্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান লে. কর্নেল আবুল কালাম আজাদ, সিলেট মহানগর পুলিশের ইন্সপেক্টর মনিরুল ইসলাম ও চৌধুরী মোহাম্মদ আবুল কয়সরসহ সাতজন।
মারা যাওয়া অন্যরা ছিলেন প্রত্যক্ষদর্শী। আহত হয় অর্ধশতাধিক উৎসুক জনতা। এ ঘটনার পর আতিয়া মহলের চারদিকে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকায় রেড অ্যালার্ট জারি করে চালানো হয় জঙ্গিবিরোধী অভিযান।
এদিকে আলোচিত এ ঘটনায় সিলেটের মোগলাবাজার থানায় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করে। প্রথমে পুলিশ এ ঘটনার তদন্ত করলেও পরে ওই বছরের জুলাই মাসে পিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার ন্যস্ত করা হয়।
অন্যদিকে আতিয়া মহলে অভিযানের পর মৌলভীবাজারের বড়হাটাসহ অন্য আরেকটি এলাকায় দুটি জঙ্গিবিরোধী অভিযান চালানো হয়। ওই অভিযানের সময় কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পক্ষ থেকে বলা হয়, সিলেটের বোমা হামলাকারীরা মৌলভীবাজার থেকে এসে হামলা করেছে। ওই অভিযানে হামলাকারীরা মারা যায় বলে জানানো হয়।