নিউজ ডেস্ক : ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে জয়সূচক গোলটি করে ফেলেছিলেন ম্যানসিটির ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড গ্যাব্রিয়েল হেসুস। কিন্তু ভিএআর প্রযুক্তির কারণে শেষ পর্যন্ত গোলটি আর বৈধ থাকলো না। শেষ পর্যন্ত ঘরের মাঠে টটেনহ্যাম হটস্পারের সঙ্গে ২-২ গোলের রোমাঞ্চকর ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়তে হলো পেপ গার্দিওলার শিষ্যদের। আট মাস পর ঘরের মাঠে জয় বঞ্চিত থাকতে হলো সিটিকে।
ম্যাচ শুরু থেকে দুই দলই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে। ২০ মিনিটে কেভিন ডি ব্রুইনের নিখুঁত বাড়ানো বল হেডে টটেনহ্যামের জালে পাঠান রাহিম স্টার্লিং; কিন্তু ব্যবধান বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি ম্যানসিটি। তিন মিনিটের মধ্যে সমতায় ফেরে টটেনহ্যাম। ডি-বক্সের বাইরে থেকে জোরাল শটে গোল করেন আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার এরিক লামেলা। ম্যানসিটির গোলরক্ষক চেষ্টা করেও লামেলার শট বাঁচাতে পারেনি। অর্থাৎ ২৩ মিনিটে ম্যাচ হয়ে যায় ১-১।
কিন্তু রুদ্ধশ্বাস লড়াই চলতে থাকে। ৩৫ মিনিটেই ফের ম্যানসিটিকে এগিয়ে দেন সার্জিও আগুয়েরো। বেলজিয়ামের মিডফিল্ডার কেভিন ডি ব্রুইনের ক্রস ধরে খুব কাছ থেকে বলে পা ছুঁইয়ে দলকে এগিয়ে দেন ম্যানসিটি’র আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড।
২-১ ব্যবধানে প্রধামার্ধ শেষ করলেও ৫৬ মিনিটে বদলি হিসেবে মাঠে নেমেই টটেনহ্যামকে সমতা এনে দেন লুকাস মাউরা। ডান দিক থেকে লামেলা’র কর্নার কিকে মাথা ছুঁইয়ে ম্যানসিটি’র জালে বল জড়িয়ে দেন ব্রাজিলের এই এই মিডফিল্ডার। ফলে দ্বিতীয়ার্ধের ১২ মিনিটের মধ্যে ম্যাচের স্কোর হয়ে যায় ২-২।
তবে ৬৩ মিনিটে পর্তুগিজ মিডফিল্ডার বার্নার্ডো সিলভার শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসায় এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ হাতছাড়া হয় ম্যানসিটি’র। এছাড়াও কর্নার থেকে আগুয়েরোর বদলি হিসেবে মাঠে নামা ব্রাজিল ফরোয়ার্ড গাব্রিয়েল হেসুস বল জালে পাঠালেও ভিএআর প্রযুক্তিতে তা বাতিল হয়ে যায়। ভিডিওতে দেখা যায় জেসুসের কাছে আসার আগে সিটির ডিফেন্ডার এমেরিক লাপোর্তের হাতে বল লেগেছিল। শেষ পর্যন্ত ২-২ গোলেই শেষ হয় ম্যানসিটি ও টটেনহ্যামের রোমাঞ্চকর লড়াই।
হোঁচট খাওয়ার ফলে ২ পয়েন্ট কমে গেলো ম্যানসিটির এবং শুরুতেই তারা নেমে গেলো তিন নম্বরে। আর প্রথম দু’টি করে ম্যাচ জিতে এক এবং দুই নম্বরে রয়েছে যথাক্রমে লিভারপুল এবং আর্সেনাল। শনিবারই তাদের দ্বিতীয় ম্যাচে জয় পেয়েছে দুই দল। দু’দলের পয়েন্ট এক হলেও গোল পার্থক্যে এগিয়ে থাকায় শীর্ষে রয়েছে ‘অল রেড’রা।