নিউজ ডেস্ক : এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার পুনঃনিরীক্ষণের ফলে নতুন করে ৫৫৫ জন ফেল থেকে পাস করেছে। নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৬৬ জন। গতকাল (শুক্রবার) বিকেলে ছুটির দিনে সকল বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটে এই ফল প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রকাশিত পুনঃনিরীক্ষণের ফলে দেখা যায়, ঢাকা বোর্ডে নতুন করে ১৪৫ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। আর ফেল থেকে পাস করেছে ২৮৯ জন। ১ হাজার ৫৮৬ জনের আগের ফল পরিবর্তন হয়েছে।
ফল পুনঃনিরীক্ষণে রাজশাহী বোর্ডের ৬৬ পরীক্ষার্থী ফেল থেকে পাস করেছে। নতুন জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৪ জন। যশোর বোর্ডের ২৩ পরীক্ষার্থী ফেল থেকে পাস করেছে। নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২ জন।
কুমিল্লা বোর্ডের ৬২ জন ফেল থেকে পাস করেছে। নতুন জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৬ জন। সিলেট বোর্ডের ১৬ পরীক্ষার্থী ফেল থেকে পাস করেছে। ফল পুনঃনিরীক্ষণে নতুন জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ জন।
দিনাজপুর বোর্ডের ২৯ জন ফেল থেকে পাস করেছে। নতুন জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ জন। ১৩৬ জনের ফল পরিবর্তন হয়েছে।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষার উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণে ৩৬৫ জনের ফল পরিবর্তন হয়েছে। এর মধ্যে ফেল থেকে পাস করেছে ৪৭ জন এবং নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৪ জন। বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণে ৮ জন ফেল থেকে পাস করেছে। নতুন জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জন।
এইচএসসির পাশাপাশি মাদরাসার আলিম পরীক্ষার উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের ফলও প্রকাশিত হয়েছে। মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে নেয়া এই পরীক্ষার ১৫ শিক্ষার্থী ফেল থেকে পাস করেছে।
ফল পুনঃনিরীক্ষণে নতুন জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ জন। মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কামাল উদ্দিন এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, পুনঃনিরীক্ষণ শেষে গ্রেড পরিবর্তন হয়েছে ৬৩ শিক্ষার্থীর।
উল্লেখ্য, ১৭ জুলাই এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। পরদিন থেকে এক সপ্তাহ পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন নেয়া হয়। পুনঃনিরীক্ষণের মাধ্যমে শুধুমাত্র শিক্ষকদের মূল্যায়ন করা নম্বর যোগে ঠিক আছে কিনা তা যাচাই-বাছাই করে এক মাস পর সেই ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।
এ বছর ১৩ লাখ ৩৬ হাজার ৬২৯ শিক্ষার্থী এইচএসসি ও আলিম পরীক্ষা দিয়েছে। এর মধ্যে ৯ লাখ ৮৮ হাজার ১৭২ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। পাসের হার ছিল ৭৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ।