নিউজ ডেস্ক : চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের নেতা সুদীপ্ত বিশ্বাস হত্যা মামলায় গ্রেফতার আওয়ামী লীগের নেতা দিদারুল আলম মাসুমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিনের হেফাজতে নেওয়ার অনুমতি পেয়েছে পুলিশ।
সোমবার তাকে আদালতে হাজির করে তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পক্ষ থেকে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের হেফাজত চাওয়া হয়।
শুনানি শেষে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আবু সালেহ মোহাম্মদ নোমান সুদীপ্ত হত্যা মামলায় মাসুমকে দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দেয় বলে জানান আদালত পুলিশের সহকারী কমিশনার কাজী শাহাবুদ্দিন আহমেদ।
রবিবার রাতে ঢাকার বনানী এলাকা থেকে লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুমকে গ্রেফতার করে পিবিআই সদস্যরা।
ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ৩১ জুলাই মাসুমের অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়। পরবর্তীতে খুলশী থানায় গিয়ে অস্ত্রটি জমা দিয়ে আসেন মাসুম।
১৯৯৭-৯৮ সালে সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মাসুম বর্তমানে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
২০১৭ সালের ৬ অক্টোবর সকালে নগরীর দক্ষিণ নালাপাড়ার বাসা থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় নগর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক সুদীপ্ত বিশ্বাসকে। এ ঘটনায় সুদীপ্তর বাবা মেঘনাথ বিশ্বাস বাবুল বাদী হয়ে সদরঘাট থানায় অজ্ঞাত পরিচয় সাত-আটজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
হত্যাকাণ্ডের এক বছর পর বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত পিবিআইকে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেয়। গত বছরের নবেম্বর মাসে পিবিআই মামলার তদন্ত শুরু করে।
হত্যাকাণ্ডের পর মহানগর ছাত্রলীগের একাধিক নেতা বলেছিলেন, বিগত কয়েক দশক ধরে সিটি কলেজ ছাত্রলীগের নেতৃত্বে মহিউদ্দিন চৌধুরীর সমর্থকরা থাকলেও গত কয়েক বছরে তার বিপরীতে একটি অংশ দাঁড়িয়েছে, যাদের একাংশের নেতৃত্বে আছেন কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, বর্তমানে নগরীর লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুম।
তার অনুসারীরাই সুদীপ্তকে পিটিয়ে মেরেছে বলে অভিযোগ করে আসছে নগর ছাত্রলীগের একাংশ। মামলায় বিভিন্ন সময়ে গ্রেফতাররাও সবাই তার সমর্থক হিসেবে পরিচিত।
মাসুম সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি থাকার সময় প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সমর্থক হিসেবে পরিচিতি হলেও ২০১৪ সালে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর তিনি মেয়র আ জ ম নাছিরের বলয়ে চলে আসেন।