নিউজ ডেস্ক : লর্ডসের মাঠে টেস্ট জয়, সেটাও আবার ক্রিকেটেরই জনক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। আয়ারল্যান্ডের এই স্বপ্নটা বাস্তবে রূপ নেয়া যেন ছিল সময়ের ব্যাপার। কে জানতো, শেষটা হবে এমন দুঃস্বপ্নে!
টেস্ট আঙিনার নতুন সদস্য আয়ারল্যান্ডের লর্ডসের মাঠে অভিষেকটা হয়েছিল স্বপ্নেরই মতো। দিন কয়েক আগে যে ইংল্যান্ড এই মাঠেই বিশ্বজয়ের উৎসব করেছে, সেখানে প্রথম ইনিংসে ইংলিশদের ৮৫ রানেই গুটিয়ে দিয়েছিল আইরিশরা।
জবাবে খুব ভালো ব্যাটিং না করলেও ২০৭ রানের একটা পুঁজি পেয়ে যায় আয়ারল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে লিড ১২২ রানের। কম তো নয়! এমন ম্যাচে ইংলিশদের আরেকবার অল্পতে গুটিয়ে দিতে পারলেই তো হিসেবটা মিলে যেতো সরল অঙ্কের মতো।
দ্বিতীয় ইনিংসেও যে ইংল্যান্ড খুব প্রতাপের সঙ্গে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল এমন নয়। মার্ক লিচ বলতে গেলে একাই টেনে নিয়ে যান দলকে। তার ৯২ রানের ইনিংসে ভর করে টেস্টের তৃতীয় দিনে ইংলিশরা অলআউট হয় ৩০৩ রানে।
এদিন আবার বৃষ্টিও বাগড়া দিয়েছিল। সেই বৃষ্টিভেজা পিচে আইরিশদের সামনে জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৮২ রানের। প্রথম ইনিংসের মতো খেলতে পারলে বিশ্বজয়ীদের কাঁদাতে পারতো উইলিয়াম পোর্টারফিল্ডের দল।
কিন্তু বড় দল বলে কথা। বৃষ্টিভেজা পিচের পুরো ফায়দাটা কাজে লাগান ইংলিশ দুই পেসার ক্রিস ওকস আর স্টুয়ার্ট ব্রড। তাদের আগুনে বোলিংয়ের সামনে আইরিশ ব্যাটসম্যানরা ১৬ ওভার পর্যন্ত দাঁড়াতে পারেননি। ১৫.৪ ওভারে আয়ারল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস গুটিয়ে যায় মাত্র ৩৮ রানেই। দলের ১০ ব্যাটসম্যানের মধ্যে দুই অংক ছুঁতে পারেন মাত্র একজন, ওপেনার জেমস ম্যাককলাম (১১)। হাতের মুঠোয় থাকা ম্যাচটা পোর্টারফিল্ডের দল হেরেছে ১৪৩ রানের বড় ব্যবধানে।
আইরিশদের এই স্বপ্ন ভাঙার মূল হোতা টেস্ট ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং করা ক্রিস ওকস। ইংলিশ এই পেসার মাত্র ১৭ রানে নেন ৬টি উইকেট। ১৯ রান দিয়ে বাকি ৪টি উইকেট নেন ব্রড।