নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশের রাজনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এরশাদ ও জাতীয় পার্টি বাংলাদেশের রাজনীতিতে যুক্ত করেছে অন্য এক মাত্রা। তবে সেই এরশাদ এখন অতীত। ১৪ জুলাই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। শেষবারের মতো আজ রংপুর নেয়া হয়েছে তার মরদেহ। সেখান থেকে আবার ঢাকায় নিয়ে এসে বনানী সামরিক কবরস্থানে দাফন করা হবে এরশাদের মরদেহ।
দাফন সম্পন্ন করতে মঙ্গলবার সকাল থেকে ৩০ জন শ্রমিক কবর প্রস্তুতের কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। বাদ আসরে তাকে এখানে চির শায়িত করা হবে।
সামরিক কবরস্থানে কবর খনন কাজে দায়িত্বরত সিনিয়র অফিসার দেলোয়ার বলেন, সকাল ৮টা থেকে ৩০ জন শ্রমিক নিয়ে আমরা কবর তৈরির কাজ শুরু করেছি। ইতোমধ্যে কবর খননের কাজ শেষ হয়েছে। তার দাফনের সময় সামরিক ও বেসামরিক উচ্চ পর্যায়ের বিভিন্ন কর্মকর্তারা কবরস্থানে উপস্থিত থাকবেন। তাদের বসার জন্য ওপরে সামিয়ানা লাগিয়ে নিচে চেয়ার বসানো হচ্ছে।
অসুস্থ হয়ে পড়লে গত ২২ জুন সিএমএইচে ভর্তি করা হয় এরশাদকে। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থাতেই ১৪ জুলাই সকালে মারা যান বাংলাদেশের রাজনীতিতে বহুল বিতর্কিত এ ব্যক্তি।
রংপুর-৩ আসন থেকে বারবার নির্বাচিত এ সংসদ সদস্যের জন্ম ১৯৩০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি। তিনি রংপুর জেলার দিনহাটায় জন্মগ্রহণ করেন। এরশাদ বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান, এককালীন প্রধান সামরিক প্রশাসক ও রাষ্ট্রপতি ছিলেন। তিনি জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৯০ সালে ব্যাপক গণ-আন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর জেলও খাটতে হয় তাকে।