নিউজ ডেস্ক : যুবলীগের দুই নেতা হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল-৩ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আমানুর রহমান খান রানার স্থায়ী জামিন ঠেকাতে আপিল করেছেন রাষ্ট্রপক্ষ।
হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত চেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করেন রাষ্ট্রপক্ষ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডেপুর্টি অ্যার্টনি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ।
রানার জামিন বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বুধবার (১৯জুন) হাইকোর্টের বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এসএম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তার স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেন।
আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলায় গত ১ এপ্রিল সাবেক এমপি রানার জামিন বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। গতকালের রায়ের ফলে কারাগার থেকে রানার মুক্তিতে আইনগত কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবী রুশো মোস্তাফা।
বুধবার আইনজীবী রুশো মোস্তাফা জানান, দুই যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় রানাকে ৬ মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়ে গত ৬ মার্চ রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। এরপর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে ওই জামিন স্থগিত করে হাইকোর্টকে রুল নিষ্পত্তি করার জন্য নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা শামীম ও মামুন ২০১২ সালের ১৬ জুলাই তাদের বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে করে টাঙ্গাইল শহরে এসে নিখোঁজ হন। পরদিন শামীমের মা আছিয়া খাতুন সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
এক বছর পর ২০১৩ সালের ৯ জুলাই নিখোঁজ মামুনের বাবা টাঙ্গাইল আদালতে হত্যা মামলা করেন। পরে তদন্ত করে পুলিশ ওই বছর ২১ সেপ্টেম্বর মামলাটি তালিকাভুক্ত করে। ওই মামলায় গ্রেফতার হওয়া শহরের বিশ্বাস বেতকা এলাকার খন্দকার জাহিদ, শাহাদত হোসেন ও হিরণ মিয়া হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।
জবানবন্দিতে তারা সাংসদ আমানুরের দিকনির্দেশনায় যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুনকে হত্যা করে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেয়ার কথা স্বীকার করেন। আমানুর রহমান খান রানা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলারও আসামি।