নিউজ ডেস্ক : দেশের মানুষের জন্যই সরকার। আবার সরকারের ক্ষমতার উৎসও এদেশেরই মানুষ। তাই অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল তার প্রথম বাজেট দিলেন দেশের সব মানুষের জন্য। দেশের কৃষক, কামার, কুমার, জেলে, তাঁতি, ব্যবসায়ী, বেদে, বিভিন্ন নৃগোষ্ঠী, হিজড়া, শিক্ষক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারসহ সকল পেশার মানুষের চাহিদা বিবেচনায় রেখে অর্থমন্ত্রী বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় সংসদে বাজেট পেশ করলেন। সরকারের বার্ষিক অর্থ ব্যয়ের সুফল দেশের সকল মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য কোন অঞ্চলই তিনি বাদ দেননি। পার্বত্য, সমতল ও চরাঞ্চল সব অঞ্চলকেই তিনি লক্ষ্য রেখেছেন।
আবার ২০০৫-০৬ সালের চেয়ে আটগুণ বড় বাজেট দিতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী মানুষের ওপর কোন চাপ সৃষ্টি করেননি। দেশের জনগণের নিত্যপ্রয়োজনীয় কোন জিনিসের দাম বাড়তে পারে এমন কোন উপকরণ অর্থমন্ত্রী তার বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করেননি। বাজেটের জন্য রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। সেটা তিনি করেছেন কর বাড়িয়ে নয়, করের আওতা বাড়িয়ে। তবে এদেশের মানুষ কর প্রদান করে না- এমন অপসংস্কৃতি থেকে তিনি বেরিয়ে আসতে চান। কর প্রদানে যারা যোগ্য তাদের তিনি করের আওতায় নিয়ে আসতে চান। সেজন্য তিনি দ্রুততম সময়ের মধ্যে এক কোটি মানুষকে করের আওতায় নিয়ে আসার ঘোষণা দিয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি ঘোষণা দিয়েছেন দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ভ্যাট আইন ২০১২ আগামী অর্থবছর থেকে বাস্তবায়নের।
জাতির পিতার আজীবনের লালিত স্বপ্ন ‘সোনার বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠার কাজ এগিয়ে নিতে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার একটি ভারসাম্যপূর্ণ বাজেট ঘোষণা করেছেন। তার এই প্রথম বাজেটে রাজস্ব আহরণের যেমন প্রচেষ্টা আছে তেমনি আছে উন্নয়নের মহাসড়কে দেশকে সচল রাখার। আছে সংস্কারমূলক নানা পদক্ষেপ। সর্বোপরি আছে দেশের মানুষকে তুষ্ট রাখার এক নজিরবিহীন উদ্যোগ। প্রস্তাবিত এই বাজেটে পরিচালন তথা অনুন্নয়ন ব্যয় হবে ৩ লাখ ১০ হাজার ২৬২ কোটি টাকা এবং উন্নয়ন ব্যয় হবে ২ লাখ ১১ হাজার ৬৮৩ কোটি টাকা। উন্নয়ন ব্যয়ের মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর আকার হচ্ছে ২ লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকা।
প্রস্তাবিত এই বাজেট ২০০৫-০৬ অর্থবছরের চেয়ে আটগুণ বড়। ফলে এই বৃহৎ বাজেটের জন্য অর্থমন্ত্রী রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যটাও নির্ধারণ করেছেন বড় আকারে। মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে ৩ লাখ ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। রাজস্ব বোর্ডবহির্ভূত সূত্র থেকে সংগ্রহ করা হবে ১৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এছাড়া করবহির্ভূত খাত থেকে রাজস্ব আহরণ করা হবে ৩৭ হাজার ৭১০ কোটি টাকা।
বাজেটে সামগ্রিক ঘাটতির পরিমাণ এক লাখ ৪৫ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা; যা জিডিপির ৫ শতাংশ। এই ঘাটতি অর্থায়নে বৈদেশিক উৎস থেকে ৬৮ হাজার ১৬ কোটি টাকা এবং অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ৭৭ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হবে। অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সংগৃহীত হবে ৪৭ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা, সঞ্চয়পত্র থেকে ২৭ হাজার কোটি টাকা এবং অন্যান্য খাত থেকে ৩ হাজার কোটি টাকা।
প্রস্তাবিত বাজেটকে তিনটি প্রধান ভাগে ভাগ করলে দেখা যায়, সামাজিক অবকাঠামো খাতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এক লাখ ৪৩ হাজার ৪২৯ কোটি টাকা, ভৌত অবকাঠামো খাতে এক লাখ ৬৪ হাজার ৬০৩ কোটি টাকা এবং সাধারণ সেবা খাতে এক লাখ ২৩ হাজার ৬৪১ কোটি টাকা।
আবার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর (এডিপি) বরাদ্দ পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরের এডিপিতে মানবসম্পদ খাতে ২৭.৪ শতাংশ, সার্বিক কৃষি খাতে ২১.৫ শতাংশ, বিদ্যুত ও জ্বালানি খাতে ১৩.৮ শতাংশ, যোগাযোগ খাতে ২৬ শতাংশ এবং অন্যান্য খাতে ১১.৩ শতাংশ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
বাজেট উপস্থাপনের শুরুতে অর্থমন্ত্রী ২০০৫-০৬ সালের সঙ্গে বিগত ১০ বছরের সামষ্টিক অর্থনীতির একটি তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরেন। এতে তিনি বলেন, গত ১০ বছরে দেশের রফতানি তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রবাসী আয়ও বেড়েছে তিনগুণ। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে নয়গুণ। বেসরকারী খাতে বিনিয়োগ বেড়েছে প্রায় পাঁচগুণ। এছাড়া, রাজস্ব আয় সাতগুণ, জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৪ গুণ এবং মাথাপিছু আয় বেড়েছে সাড়ে তিনগুণ। সামাজিক খাতের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান দক্ষিণ এশিয়ার সবার ওপরে।
প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী নতুন নতুন বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। চলমান আইন ও বিধি সংস্কার সম্পন্ন করে ২০৩০ সালের মধ্যে তিন কোটি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বেকারত্বের অবসান ঘটানোর ঘোষণা দিয়েছেন। যুবকদের মধ্যে সকল প্রকার ব্যবসা উদ্যোগ সৃষ্টির জন্য বাজেটে ১০০ কোটি টাকার একটি বরাদ্দও রেখেছেন। বৈধপথে রেমিটেন্স তথা প্রবাসী আয় দেশে প্রেরণকে উৎসাহিত করতে দুই শতাংশ হারে প্রণোদনা প্রদানের কথা বলেছেন।
সাম্প্রতিক বর্ষায় দেশে নদী ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করে। তাই নদী ভাঙ্গন এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পুনর্বাসনের জন্য বাজেটে ১০০ কোটি টাকার একটি বরাদ্দ রেখেছেন। ধানের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতে উৎপাদন খরচ কমিয়ে আনতে ফসল আবাদ ও কর্তন কার্যক্রম যান্ত্রিকীকরণের জন্য বাজেটে যন্ত্রপাতি ক্রয়ে ভর্তুকি প্রদানের কথাও অর্থমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন।
নির্বাচনী ইশতেহারের ঘোষণা অনুযায়ী, গ্রামকে শহরে পরিণত করার জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে একটি রূপরেখা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। ব্যবসা-বাণিজ্যকে উৎসাহিত করার জন্য তৈরি পোশাক শিল্পে নগদ প্রণোদনার পরিমাণ এক শতাংশ বাড়িয়েছেন। বিদ্যমান ৪ শতাংশ থেকে এই প্রণোদনা ৫ শতাংশ করা হয়েছে। আবাসন খাতকে চাঙ্গা করতে রেজিস্ট্রেশন ফি যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনার উদ্যোগ গ্রহণ করার ঘোষণা দিয়েছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে আলোচিত ও বিতর্কিত বিষয় হলো ব্যাংকিং খাত। ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যাংকিং খাত সংস্কারে ৬টি প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, ব্যাংকিং খাত শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বিশেষ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় কোন প্রকার সংস্কার আমরা লক্ষ্য করিনি। ব্যাংক থেকে কোন ঋণ গ্রহীতা ঋণ গ্রহণ করে ঋণ শোধে ব্যর্থ হলে তার জন্য কোন প্রকার ‘এক্সিট’-এর ব্যবস্থা ছিল না। আমরা এবার এই কার্যক্রমটি আইনী প্রক্রিয়ায় সুরাহার লক্ষ্যে একটি কার্যকর ইনসলভেন্সি আইন ও ব্যাংরাপ্টসি আইনের হাত ধরে ঋণ গ্রহীতাদের এক্সিটের ব্যবস্থা নিচ্ছি।
তিনি বলেন, ব্যাংক ও আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা সুদৃঢ় করার জন্য একটি ব্যাংক কমিশন প্রতিষ্ঠার কথা আমরা দীর্ঘদিন শুনে আসছি। এ বিষয়টি নিয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করব। তিনি আরও বলেন, আমাদের আর্থিক খাত এ বিশেষ কোন ইনস্ট্রুমেন্টের ব্যবহার ছিল না। তাই ব্যাংকসমূহ স্বল্প মেয়াদের আমানত সংগ্রহ করে দীর্ঘ মেয়াদের ঋণ প্রদানে বাধ্য হতো। এতে ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়। এই জাতীয় ভারসাম্যহীন অবস্থা দূর করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। একটি গতিশীল বন্ড মার্কেটসহ অন্যান্য ইনস্ট্রুমেন্ট যেমন- ওয়েজ আর্নার্স বন্ড, ভেনচার ক্যাপিটাল, ট্রেজারি বন্ডের ব্যবহার উৎসাহিত করব।
অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতা শেষ করেন নতুন প্রজন্মের প্রতি গভীর আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে যাওয়ার সোনালি যুদ্ধ এখনও অব্যাহত। এবং অব্যাহত থাকবে জন্ম-জন্মান্তরে। এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে। আমাদের লাল সজুজের পতাকাকে ঘিরে। যতদিন এই পৃথিবীর বুকে লাল সবুজের বাংলাদেশ টিকে থাকবে ততদিন এই লাল সবুজের পতাকাটিকে বিশ্বের সর্বোচ্চ স্থানে সর্বোচ্চ মর্যাদার আসনে আসীন রাখবে আমাদের তারুণ্য, আমাদের আগামী প্রজন্ম। যারা আমাদের লাখো কোটি মহান মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। মহান মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তের উত্তরাধিকার।
সংশোধিত বাজেট ॥ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের রাজস্ব আয় কার্যক্রম আশানুরূপ না হওয়ায় চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট ২২ হাজার ৩২ কোটি টাকা কাটছাঁট করে সংশোধন করা হয়েছে। এ অর্থবছরের বাজেটে সর্বমোট সরকারী ব্যয়ের প্রাক্কলন করা হয়েছিল চার লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে এ ব্যয় ২২ হাজার ৩২ কোটি টাকা কমিয়ে ৪ লাখ ৪২ হাজার ৫৪১ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর আকার ১ লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকা থেকে ৬ হাজার কোটি টাকা হ্রাস করে ১ লাখ ৬৭ হাজার কোটি টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে, পরিচালন তথা অনুন্নয়ন ব্যয় কমানো হয়েছে ১৬ হাজার ৩২ কোটি টাকা।
মূল বাজেটের মতো সংশোধিত বাজেটেও ঘাটতি জিডিপির ৫ শতাংশে সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে। মূল বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ ছিল ১ লাখ ২৫ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে এই ঘাটতি নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ২৫ হাজার ৯২৯ কোটি টাকা। মূল বাজেটে ঘাটতির বিপরীতে বৈদেশিক সূত্র থেকে অর্থায়ন ধরা হয়েছিল ৫৪ হাজার ৬৭ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে তা হ্রাস করে ৪৭ হাজার ১৮৪ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে সঞ্চয়পত্র ও অন্যান্য সূত্র থেকে অর্থায়নের পরিমাণ ধরা হয়েছে ৪৭ হাজার ৮৫০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩ লাখ ৩৯ হাজার ২৮০ কোটি টাকা। রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ২২ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকা হ্রাস করে ৩ লাখ ১৬ হাজার ৬১২ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার অপরাহ্ণ ৩টায় জাতীয় সংসদের অধিবেশ শুরু হয়। কোরান তেলাওয়াতের পর স্পীকারের অনুমতি নিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল অনেক কষ্টে আসনে বসেই জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন। কিন্তু অসুস্থতার কারণে তিনি বেশিক্ষণ বাজেট পেশ করতে পারেননি। এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতার বাকি অংশ সংসদে উপস্থাপন করেন। এর মধ্য দিয়ে জাতীয় সংসদের প্রধানমন্ত্রীর বাজেট পেশেরও একটি নজির সৃষ্টি হয়।
কয়েক দিন ধরেই অর্থমন্ত্রী অসুস্থ হয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাজেট পেশ করার জন্য দুপুরে অসুস্থ অর্থমন্ত্রী হাসপাতাল থেকে সরাসরি সংসদ ভবনে যান। অসুস্থ থাকার কারণে আসতে দেরি হওয়ায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে ছাড়াই দুপুরে মন্ত্রিসভার বৈঠক শুরু হয়। জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে অর্থমন্ত্রী এ্যাপোলো হাসপাতাল থেকে সরাসরি ওই বৈঠকে যোগ দেন। দুপুর ১টার পর শুরু হওয়া মন্ত্রিসভার এই বিশেষ বৈঠকেই অনুমোদন দেয়া হয় ‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ : সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’ শিরোনামে প্রস্তাবিত বাজেটের। সংসদে পেশের আগে রাষ্ট্রপতিও বাজেট এবং অর্থবিলের অনুমতি দেন।
নতুন অর্থমন্ত্রী হিসেবে আ হ ম মুস্তফা কামালের এটি প্রথম বাজেট। যদিও পরিকল্পনামন্ত্রী হিসেবে অনেক বাজেট প্রণয়নের সঙ্গে পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন তিনি। এবারের প্রস্তাবিত বাজেট পাস হবে আগামী ৩০ জুন। ১ জুলাই থেকে শুরু হবে নতুন অর্থবছর।