বার্ড ফ্লু মুক্ত মুরগি জন্ম দেবেন বিজ্ঞানীরা!

Print Friendly, PDF & Email

নিউজ ডেস্ক : বিশ্বের আতঙ্ক বার্ড ফ্লু নিয়ে সুসংবাদ দিলেন বিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন, তারা এমন এক ধরনের মুরগি জন্ম দেবেন যার দেহে বার্ড ফ্লু বাসা বাঁধতে পারবে না। মুরগির জিন এডিট করে সেই পথে এক ধাপ এগিয়েও গেছেন তারা।

ব্রিটেনের ইম্পেরিয়াল কলেজ এবং এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের রসলিন ইনস্টিটিউটের গবেষকরা এমন দাবি করেছেন। তারা দাবি করেছেন, পরীক্ষাগারে মুরগির ছানার ডিএনএর একটি অংশ থেকে এএনপি৩২ প্রোটিন সরাতে সক্ষম হয়েছেন তারা। এই প্রোটিনেই বার্ড ফ্লুর ভাইরাস আশ্রয় নেয়। এই দুই গবেষক বলছেন, এই প্রোটিন মুরগির ডিএনএ থেকে সরানোর ফলে মুরগি ওই ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার আশংকা থেকে একেবারে মুক্ত।

গত ৪ জুন বিজ্ঞানবিষয়ক জার্নাল ইলাইফে এ বিষয়ে একটি নিবন্ধ ছাপা হয়েছে। সেখানে রসলিন ইনস্টিটিউটের গবেষক মাইক ম্যাকগ্রিউ জানান, তাদের পরবর্তী লক্ষ্য জিন-এডিটিং টেকনোলজির মাধ্যমে এমন মুরগি জন্ম দেয়া যা বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হবে না।

তিনি বলেন, ‘এটা (গবেষণায়) এমন এক অগ্রগতি যার ফলে আমরা এখন জিন-এডিটিং টেকনোলজি ব্যবহার করে বার্ডফ্লু-প্রতিরোধী মুরগি জন্ম দেয়ার আশাও করতে পারি।’

মাইক ম্যাকগ্রিউয়ের বরাত দিয়ে জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে শুক্রবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এখনো সেই ধরনের মুরগির ছানা জন্ম দেয়া সম্ভব হয়নি। তা করার আগে এডিট করা ডিএনএ মুরগির দেহে কোনো ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে না এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে চান বিজ্ঞানীরা।

প্রায় একশো বছর ধরে বিশ্বে বড় এক আতঙ্কের নাম বার্ড ফ্লু। সর্বশেষ ২০০৯ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে সারা বিশ্বে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের প্রাণ কেড়েছিল এইচওয়ানএনওয়ান ভাইরাস। তবে পাখিবাহিত ভাইরাসের কারণে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল ১৯১৮ থেকে ১৯২০ সালের মধ্যে। তখন একই ভাইরাসের কারণে মারা গিয়েছিল প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ।

বার্ড ফ্লু-র আতঙ্ক থেকে বিশ্বকে দূরে রাখার উপায় খুঁজছিলেন বিজ্ঞানীরা। এতদিন নিশ্চিত কোনো উপায় তারা খুঁজে পাননি। তবে এবার দেখার পালা এক্ষেত্রে ব্রিটেনের ইম্পেরিয়াল কলেজ এবং এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের রসলিন ইনস্টিটিউটের গবেষকরা কতটা চমক দেখাতে পারেন।