নিউজ ডেস্ক : ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এসেই দেশের সংখ্যালঘু এবং প্রান্তিক মানুষদের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনার কথা বলেছিলেন। সংখ্যালঘুদের আস্থা অর্জনের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিজেপি এবং এনডিএ সাংসদদের। তাঁর সেই প্রস্তাবকে এবার স্বাগত জানালেন মুসলিম সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট নাগরিকরা। সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে নিয়ে এগিয়ে চলার তাঁর এই ভাবনায় তাঁদের সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে বলে চিঠি লিখে জানালেন তাঁরা।
এর কারণ খুঁজতে গিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম ঘেঁটে জানা গেল, মুসলিম সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট ওই নাগরিকরা চিঠি দিয়ে মোদির একটি উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন।
মোদি আরেকবার ক্ষমতায় এসেই সংখ্যালঘুদের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন। দলের নেতা–কর্মীদের নির্দেশ দেন সবার বিশ্বাস রক্ষা করার। সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে নিয়ে এগিয়ে চলার তার এই ভাবনায় মুসলিমদের সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে বলে চিঠি লিখে জানিয়েছেন তারা।
সম্মিলিতভাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ওই চিঠি লেখেন হায়দরাবাদের ন্যাশনাল ল’কলেজের উপাচার্য ফয়জান মুস্তফা, মেস্কো গ্রুপের চেয়ারম্যান ফখরুদ্দীন মোহাম্মদ, জামিয়া উলামা-ই-হিন্দ সংগঠনের সদস্য মাহমুদ মাদানি ও নিয়াজ ফারুখি, শিক্ষাবিদ পিএ ইনামদার, সেন্টার অব হজ কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান কায়সার শামিম এবং দিল্লি সংখ্যালঘু কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের সদস্য কামাল ফারুখি।
এছাড়া চিঠিতে স্বাক্ষর করেন বিচারপতি সোহেল সিদ্দিকি, বিচারপতি এসএস পারকর, ওয়ার্ল্ড এডুকেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের সভাপতি শবি আহমেদ, সাচার কমিটির প্রাক্তন সদস্য এস জাফল মাহমুদ এবং দিল্লি সংখ্যালঘু কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান জাফরুল ইসলাম।
চিঠিতে তারা লেখেন, ‘দরিদ্র এবং প্রান্তিক মানুষকে মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনতে না পারলে, আপনার এবং প্রত্যেক দেশপ্রেমীর স্বপ্ন বাস্তবায়িত হওয়া সম্ভব নয় বলে আমরা বিশ্বাস করি। ১৮৫৭ সালে দেশের স্বাধীনতার জন্য যেমন সব সম্প্রদায়ের মানুষ এক জোট হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন, দেশের মানুষের মধ্যে সেই উদ্দীপনা ফিরিয়ে আনতে চাইছেন জেনে ভরসা পাচ্ছি আমরা।’