নিউজ ডেস্ক : চট্টগ্রাম নগরে গৃহবধূকে গুলি করে হত্যার পাঁচ ঘণ্টার মাথায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন অভিযুক্ত যুবক। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) চার পুলিশ সদস্য।
শনিবার রাতে বাকলিয়া থানার বলিরহাট এলাকায় গুলিতে নিহত হন গৃহবধূ বুবলী আক্তার (২৮)। পরে রবিবার ভোরে কর্ণফুলী নদীর পাড় সংলগ্ন এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন অভিযুক্ত শাহআলম।
বুবলী আক্তারের (২৮) বাবার বাড়ি বাকলিয়ার বজ্রঘোনা এলাকায়। তার স্বামীর নাম আকরাম হোসেন। বুবলী বজ্রঘোনা এলাকায় বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) শাহ মো. আব্দুর রউফ জানান, বজ্রঘোনা এলাকার যুবক শাহআলমের সঙ্গে স্থানীয় হাসান নামের এক যুবকের বিরোধ ছিল। এই হাসান বুবলীদের আত্মীয় ও তার ভাই রুবেলের বন্ধু। শনিবার রাতে হাসানের সঙ্গে বিরোধের জেরে রুবেলকে মারার জন্য অস্ত্র হাতে খুঁজছিল শাহআলম। পরে রুবেলকে না পেয়ে তার বোন বুবলীকে গুলি করে হত্যা করে।
তিনি আরও জানান, পুলিশ খোঁজ নিয়ে জানতে পারে খুনি শাহআলম বজ্রঘোনার কল্পলোক আবাসিক এলাকায় অবস্থান করছে। এমন খবরে অভিযান চালায় পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে শাহআলম ও তার সহযোগীরা গুলি ছোড়ে। এতে বাকলিয়া থানার ওসি নেজাম উদ্দিনসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে ঘটনাস্থল থেকে শাহআলমকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও চার রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
এদিকে বুবলী খুনের ঘটনায় জড়িত আরও দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা হলেন- শাহ আলমের ভাই নুরুল আলম ও সহযোগী মো. নবী।