নিউজ ডেস্ক : এবার মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় শূন্য পাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দুটি কমেছে। একই সঙ্গে শতভাগ পাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা এক হাজার ৯টি বেড়েছে।
এবার ১০৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কেউ পাস করতে পারেনি, গত বছর শূন্য পাস প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ১০৯টি।
অপরদিকে এবার শতভাগ পাস প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২ হাজার ৫৮৩টি। গত বছর এক হাজার ৫৭৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সবাই পাস করেছিল।
সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১৯ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
এবার ৩ হাজার ৪৮২টি কেন্দ্রের মাধ্যমে ২৮ হাজার ৬৭৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেয়।
গত কয়েক বছরের মতো এবারও আট বোর্ডের মধ্যে শতভাগ পাস প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা রাজশাহী বোর্ডে সর্বোচ্চ। এ বোর্ডের শতভাগ পাস প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৪৩১টি। এর পরের অবস্থানে রয়েছে যশোর বোর্ডে। এ বোর্ডের ২৭৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সবাই পাস করেছে।
এ ছাড়া শতভাগ পাস বিদ্যালয়ের সংখ্যা ঢাকা বোর্ডে ১৪৬, কুমিল্লা বোর্ডে ১৩২, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৩০, বরিশাল বোর্ডে ৫০, সিলেট বোর্ডে ২২ ও দিনাজপুর বোর্ডে ১৩৮টি।
মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের এক হাজার ২৬৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সবাই পাস করেছে। কারিগরি বোর্ডে শতভাগ পাস বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৯৬টি।
এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ঢাকা, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বোর্ডে কোনো শূন্য পাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই। রাজশাহী, যশোর ও দিনাজপুর বোর্ডে একটি করে প্রতিষ্ঠানের কেউ পাস করতে পরেনি। বরিশাল বোর্ডে দুটি শূন্যপাস বিদ্যালয় রয়েছে।
মাদরাসা বোর্ডের ৫৯টি ও কারিগরি বোর্ডের ৪৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কেউ পাস করতে পারেনি।
এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১০ বোর্ডে গড় পাসের হার ৮২ দশমিক ২০ শতাংশ। এর মধ্যে আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে এসএসসিতে পাসের হার ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ, মাদরাসা বোর্ডে দাখিলে পাসের হার ৮৩ দশমিক ০৩ ও কারিগরি বোর্ডে ৭২ দশমিক ২৩ শতাংশ।