নিউজ ডেস্ক : পঞ্চম দফায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ৭টি আসনে লোকসভা নির্বাচন আজ সোমবার। নির্বাচন ঘিরে ভারতীয় সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আর তাই সোমবার একদিনের জন্য বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্তে আমদানি-রফতানি সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে বলে জানা গেছে। তবে পাসপোর্টযাত্রীদের চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।
ওপারে বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠনের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা ভোট দিতে নিজ এলাকায় চলে যাওয়ায় এ পথে কোনো আমদানি-রফতানি হবে না। মঙ্গলবার সকাল থেকে কার্যক্রম যথারীতি নিয়মে চলবে।
এদিকে বনগাঁসহ অন্যান্য কেন্দ্রের নির্বাচনকে সামনে রেখে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সীমান্ত এলাকাগুলো সিল করে দেয়া হয়েছে। ভোটের দিন কেউ যেন সীমান্ত পেরিয়ে ওপারে প্রবেশ করতে না পারে সে কারণেই নির্বাচন কমিশন এ নির্দেশ জারি করেছে। নির্দেশ পাওয়ার পর ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীসহ বিএসএফসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর থাকবে।
প্রতিবারই ভোটের আগে সীমান্ত সিল করে দেয়া হয়। তবে এবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনেক কঠোর করা হয়েছে। রবিবার ভারত ফেরত পাসপোর্টযাত্রীরা জানান, নির্বাচনকে সামনে রেখে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সীমান্তপথে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এসব চেকপোস্টে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বাংলাদেশি পাসপোর্ট যাত্রীদেরও তল্লাশি করা হচ্ছে। সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সীমান্ত এলাকা ছাড়াও ছোট বড় আবাসিক হোটেল, বাস ও রেলস্টেশনে পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। ভোটের দিন বিশেষ পুলিশ প্রহরায় ঢাকা-কলকাতা সরাসরি বাস যাতায়াত করতেও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় বিজিবির এক কর্মকর্তা জানান, নির্বাচনের সময় বর্ডার একটু কড়াকড়ি থাকে। তবে এ সীমান্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। বিএসএফের পাশাপাশি বিজিবিও সতর্কতার সঙ্গে সীমান্তে দায়িত্ব পালন করছে।
বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা আজিজুর রহমান জানান, সোমবার বেনাপোল-পেট্রাপোল পথে কোনো আমদানি-রফতানি হবে না বলে ওপারের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা আগেই জানিয়ে দিয়েছেন। ভারত থেকে পণ্য নিয়ে আসা খালি ট্রাকগুলো সন্ধ্যার আগেই ভারতে ফিরে গেছে। তবে বেনাপোল কাস্টম হাউজে কার্যক্রম চলবে।
বেনাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের উপ পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার জানান, ভারতে নির্বাচনের কারণে আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকলেও বেনাপোল বন্দর থেকে পণ্য খালাস প্রক্রিয়াসহ লোড আনলোড স্বাভাবিক থাকবে।