নিউজ ডেস্ক : জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ৯০ দিনের (৩ মাস) মধ্যে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব জমা দেয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ৯০ দিন পেরিয়ে গেলেও শুধু আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো রাজনেতিক দল তাদের ব্যয়ের হিসাব জমা দেয়নি।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) বলছে, ইতোমধ্যে তারা নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব না দেয়া দলগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিষয়টি কমিশন সভায় উপস্থাপন করা হবে।
ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ আজ (রোববার) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে এ তথ্য জানান।
হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘যারা প্রার্থী তারা ব্যয়ের হিসাব দেবে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে। আর দলগতভাবে দেবে নির্বাচন কমিশনের কাছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কোনো রাজনৈতিক দল আমাদের কাছে ব্যয়ের হিসাব আমাদের কাছে দেয়নি।’
‘কমিশনের ক্ষমতা আছে, কিছুদিন তাদের সময় বাড়ানোর। তারপরও যদি না দেয়, তাদের আমরা কারণ দর্শানোর নোটিশ দেব। অন্যান্য আইনানুগ ব্যবস্থা যা আছে, আমরা নেব।’
কী ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে, এ বিষয়ে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমরা কারণ দর্শানোর নোটিশ দেব। এরপরও যদি তারা জমা না দেয়, মামলা দায়েরের ব্যবস্থা করবো।’
দলের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দল যদি ব্যয়ের হিসাব না দেয়, কমিশন মনে করলে নিবন্ধন বাতিল করে দিতে পারে।’
ভোটের পর ৯০ দিনের মধ্যে ব্যয়ের হিসাব দেয়ার বিষয়টি কমিশনে উপস্থাপন করা হবে বলেও জানান হেলালুদ্দীন আহমদ।
নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দিলে সেটার একটি কপি নির্বাচন কমিশনের কাছে দেন ওই কর্মকর্তা। আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য রাজনৈতিক দলগুলো ব্যয়ের হিসাব না দিলেও প্রার্থীরা ব্যয়ের হিসাব জমা দিয়েছেন বলে জানান ইসি সচিব। তিনি বলেন, ‘আমার জানা মতে, রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে ইতোমধ্যে সকল প্রার্থীই তাদের ব্যয়ের হিসাব জমা দিয়েছেন।’