বিকেলেই নিস্তেজ হবে ‘ফণী’,রুপ নিবে নিম্নচাপে

Print Friendly, PDF & Email

প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী ভারতের উড়িষ্যা, পশ্চিমবঙ্গ হয়ে শক্তি হারাতে হারাতে বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় হিসেবে আঘাত হেনেছে। তবে ছোবল মারতে পারেনি। এটি আরও শক্তিক্ষয় করে সন্ধ্যায় ভারতের আসামে গিয়ে ঠেকবে। এর প্রভাব সিকিমেও পৌঁছবে।
ভারত ও বাংলাদেশের আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, ফণি আজ শনিবার দুপুর নাগাদ গভীর নিম্নচাপে (৫০-৬০ কিলোমিটার গতি) নেমে আসবে। বিকেল নাগাদ নিম্নচাপে (৪০-৫০ কিলোমিটারর গতি) নেমে আসবে। সন্ধ্যা নাগাদ এটি স্বাভাবিকের দিকে যাবে।
ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, গভীর নিম্নচাপ ও নিম্নচাপের কারণে সিকিম, আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, মনিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড ও অরুণাচল প্রদেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হবে। তবে আসাম, মেঘালয় ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হবে।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, ৫ মে পর্যন্ত উত্তর ও উত্তরাঞ্চলে কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হবে।
আবহাওয়াবিদ কামরুল হাসান বলেন, শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ ফণী নিম্নচাপে পরিণত হয়ে শান্ত হবে এবং ময়মনসিংহ অঞ্চল হয়ে ভারতের আসামে গিয়ে ঠেকবে। দিনভর গভীর নিম্নচাপ ও নিম্নচাপের প্রভাবে বৃষ্টিপাত ও দমকা হাওয়া বয়ে যাবে কোথাও কোথাও।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানিয়েছেন, ৫ মে পর্যন্ত চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, ঢাকা, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, রংপুর ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও বজ্রসহ ভারী, কোথাও অতিভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। ৮৯ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হলে তাকে অতিভারী বৃষ্টিপাত বলা হয়।
অতিপ্রবল থেকে দুর্বল হয়ে ঘূর্ণিঝড় আকারে শনিবার সকাল ৬টা থেকে সাতক্ষীরা, যশোর ও খুলনা অঞ্চলে আছড়ে পড়ে ‘ফণী’।
ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে বর্তমানে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে এবং সারাদেশে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। তবে সাগর খুবই উত্তাল।