নিউজ ডেস্ক : নুসরাত হত্যাকাণ্ড নিয়ে সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশের প্রত্যাহার হওয়া ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা মামলা তদন্তে সোনাগাজীতে আসে তদন্ত দল।
বুধবার বিকেলে পিবিআই সদর দপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিমা সুলতানার নেতৃত্বে একটি দল সোনাগাজীতে তদন্ত শুরু করেছেন।
উচ্চ আদালতের সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে ব্যারিস্টার ছায়েদুল হক সুমনের দায়ের করা মামলার তদন্তের প্রথম দিন সোনাগাজী পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন, সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশের এসআই করিমুল হকের মতামত গ্রহণ করেন।
এর আগে গত ২৭ মার্চ মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ নিয়ে থানায় গেলে সেখানে ওসি তার মোবাইলে নুসরাতকে ধমক দিয়ে ভিডিওধারণ করেনন। ৬ এপ্রিল নুসরাতের গায়ে অগ্নিসংযোগ করার পর ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। নুসরাতের মৃত্যুর পর এই ঘটনায় মামলা দায়ের করেন ব্যারিস্টার সুমন। ওই মামলা তদন্তের স্বার্থে ওসি মোয়াজ্জেমের ব্যবহৃত দুটি ফোন জব্দ করে পিবিআই।
সোনাগাজী থানা পুলিশের এসআই নুরুল করিম জানান, এ ব্যাপারে বুধবার বিকেলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তিনি পিবিআইয়ের কর্মকর্তাদের কাছে বিস্তারিত তুলে ধরেছেন।
সোনাগাজী পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন জানান, ওই দিন ওসি নুসরাতের বক্তব্য রেকর্ডিং করার সময় তিনি ওসির কক্ষে প্রবেশ করেন। সেখানে তিনি নুসরাতের বান্ধবীর বক্তব্য শুনে বিষয়টি আইনের চোখে দৃষ্টিকটু বলে বের হয়ে যান। ওই সময় নুসরাতের বান্ধবী, এসআই করিমুল হক, নুসরাতের মা ও দুই ভাই উপস্থিত ছিলেন।
সোনাগাজীতে তদন্তের ব্যাপারে জানতে চাইলে পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিমা সুলতানা বলেন, আজকে (বুধবার) আমরা থানার কার্যক্রম শেষ করেছি। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে পরে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।