নিউজ ডেস্ক : সারা দেশের দুই হাজার ৫৭৯টি কেন্দ্রে একযোগে শুরু হয়েছে ২০১৯ সালের উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষা। আজ সোমবার সকাল ১০টা থেকে পরীক্ষা শুরু হয়, চলবে বেলা ১টা পর্যন্ত। এবছর মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৩ লাখ ৫১ হাজার ৫০৫ জন শিক্ষার্থী।
সূচি অনুযায়ী, ১ এপ্রিল থেকে ১১ মে হবে তত্ত্বীয় পরীক্ষা। আর ১২ থেকে ২১ মের মধ্যে ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ করতে হবে। প্রতি বছরের মতো এবারও প্রথমে বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) ও পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সকালের পরীক্ষা সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা ও বিকেলের পরীক্ষা ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে এবং নকলমুক্ত পরিবেশে এবং প্রশ্নফাঁস রোধে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বেশ কিছু কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঠেকাতে এসএসসি পরীক্ষার মত এ্যলুমোনিয়ামের তৈরি বিশেষ ‘সিকিউরিটি খাম’। এছাড়া প্রত্যেকটি কেন্দ্র উপকেন্দ্রে একজন করে ট্যাগ অফিসার সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন। একই সাথে বোর্ড কর্তৃপক্ষের গঠিত ৫টি ভিজিল্যান্স টিম মাঠে থাকবে।
পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে সব পরীক্ষার্থীকে আবশ্যিকভাবে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করে আসন গ্রহণ করতে হবে। অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থী এরপর পরীক্ষা কেন্দ্রে এলে রেজিস্ট্রারে নাম, ক্রমিক নং ও দেরিতে আসার কারণ উল্লেখ করতে হবে। দেরিতে আসা পরীক্ষার্থীদের তালিকা প্রতিদিন কেন্দ্র সচিব সংশ্লিষ্ট বোর্ডকে জানাতে হবে।
কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ব্যতীত পরীক্ষা কেন্দ্রে অন্য কেউ মোবাইল ফোন বা অননুমোদিত ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন না। কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছবি তোলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধাবিহীন একটি সাধারণ ফিচারফোন ব্যবহার করতে পারবেন।
পরীক্ষা শুরু হওয়ার ২৫ মিনিট আগে প্রশ্নের সেট কোড ঘোষণা করা হবে। সে অনুযায়ী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট/দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তার উপস্থিতিতে তার, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও পুলিশ কর্মকর্তার স্বাক্ষরে প্রশ্নপত্রের প্যাকেট বিধি মোতাবেক খুলতে হবে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস সংক্রান্ত গুজব কিংবা এ কাজে তৎপর চক্রগুলোর কার্যক্রমের বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো নজরদারি জোরদার করবে। প্রশ্নপত্র ফাঁস কিংবা পরীক্ষার্থীদের কাছে উত্তর সরবরাহে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙখলা রক্ষাকারী বাহিনী ও জেলা প্রশাসন কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
পরীক্ষা সুষ্ঠু, সুন্দর ও নকলমুক্ত পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ১ এপ্রিল থেকে সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু
