ফতুল্লায় পুলিশের সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষ-গুলি, আহত ১০

Print Friendly, PDF & Email

নিউজ ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে স্থানীয় লোকজন ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ আত্মরক্ষার্থে তিন রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে এবং লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফতুল্লার চর কাশিপুর তিন রাস্তার মোড়ে রোমানের গরুর খামারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় পুলিশের এক এসআই, তিন কনস্টেবলসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। তারা হলেন- ফতুল্লা মডেল থানার এসআই ফাহেয়াত উদ্দিন রক্তিম, কনস্টেবল হেলাল উদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম ও আলমগীর হোসেন।

তবে পুলিশের লাঠিচার্জে আহত স্থানীয় লোকজনের নাম তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি। পুলিশ এ ঘটনায় সোহেল (৩৪) নামে একজনকে আটক করেছে। সোহেল চর কাশিপুর এলাকার মৃত আলী হোসেনের ছেলে।

ফতুল্লা মডেল থানার এসআই ফাহেয়াত উদ্দিন রক্তিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সিএনজিযোগে তিন কনস্টেবল নিয়ে ফতুল্লার চর কাশিপুর এলাকায় ডিউটি করছিলাম। চর কাশিপুর তিন রাস্তার মোড় অতিক্রম করার সময় জুয়েল নামে এক যুবক সড়কের মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকায় সিএনজি নিয়ে যেতে পারছিলাম না। ওই যুবককে সরে দাঁড়াতে বললে সে আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। আমি তাকে বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরানোর চেষ্টা করি। কিন্তু সে আমার কথা না শুনে ফোন করে এলাকার লোকজন এনে আমাদের ওপর ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। তখন সড়কের একপাশে কনস্টেবলদের নিয়ে আশ্রয় নিলে হামলাকারীরা আমাদের চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে এবং মারধর শুরু করে।

তিনি বলেন, আত্মরক্ষার্থে হামলাকারীদের ধাক্কা দিয়ে দূরে গিয়ে আমার পিস্তল থেকে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ি। তখন এলাকার লোকজন কিছুটা দূরে সরে গেলে কনস্টেবল জাহাঙ্গীর আলমের শর্টগান থেকে এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়। এতে এলাকার লোকজন পালিয়ে যাওয়ার সময় সোহেল নামে একজনকে আটক করা হয়। জুয়েল, সোহেলের লোকজনের হামলায় আমিসহ তিনজন আহত হয়েছি। আমরা সবাই শহরের খানপুর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছি।

এলাকাবাসী জানান, আরসিসি ঢালাই হওয়ার কারণে রাস্তা বন্ধ থাকায় ডিউটিরত পুলিশ সদস্যরা সিএনজি নিয়ে অন্য আরেকটা রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় জুয়েলের সঙ্গে এসআই রক্তিমের তর্কাতর্কি হয়। পুলিশ জুয়েলকে আটক করতে চাইলে এলাকার লোকজনের সঙ্গে ঝামেলা বাঁধে। এ সময় পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। আর পুলিশের লাঠিচার্জে ৫/৬ জন আহত হয়।

এ ব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুর কাদের বলেন, যারা সামান্য বিষয় নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করে তারা সাধারণ নয়। এদের দ্বারা এলাকাবাসী নির্যাতিত হয়। ফতুল্লা এলাকায় কোনো সন্ত্রাসী থাকবে না।

আর এ বিষয়ে পুলিশের এসআই ফাহেয়াত উদ্দিন রক্তিম বাদী হয়ে মামলা করবে বলে জানান।