প্রধানমন্ত্রীকে ‘মাদার অব এডুকেশন’ উপাধি দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা

Print Friendly, PDF & Email

নিউজ ডেস্ক : কোটাপ্রথা বাতিলের ঘোষণা দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মাদার অব এডুকেশন উপাধি দিয়েছেন কোটা সংস্কার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের সামনে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সংবাদ সম্মেলন করে তারা এ উপাধি দেন।

বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনে নেতারা এই ঘোষণা দেন। নেতারা জানান, আন্দোলন প্রত্যাহার বা বাতিল নয়, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী কোটা ব্যবস্থা বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করেছেন তারা।
একইসঙ্গে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামানের বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরসহ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সহিংসতার ঘটনায় দায়ের করা সব মামলা প্রত্যাহার ও আন্দোলনের সময় দেশের বিভিন্ন জায়গায় আট শিক্ষার্থীদের মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। আন্দোলনকারীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘মাদার অব এডুকেশন’ বলে অভিহিত করেছেন।

বৃস্পতিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে রাজু ভাস্কর্যের সামনে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। সেখানে কথা বলেন আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতারা। কোটা ব্যবস্থা বাতিলের ঘোষণা দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান তারা।
সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হাসান আল মামুন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ছাত্রসমাজের কথা বিবেচনা করে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাকে আমরা ধন্যবাদ জানাই। প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন স্থগিত থাকবে।’
আহত ছাত্রদের সুচিকিৎসার জন্য আহ্বান জানান হাসান আল মামুন। এ ছাড়া কাউকে যেন হয়রানি না করা হয়, সেদিকে দৃষ্টি দেওয়ার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। এরপর কমিটির ৩ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক কয়েকটি দাবি পড়ে শোনান।

দাবিগুলো হল- ১. প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার গেজেট প্রকাশ করে অতিদ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। ২. গ্রেফতারকৃত আন্দোলকারী সকল শিক্ষার্থীদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। ৩. আন্দোলনে পুলিশি নির্যাতনে আহত সকল শিক্ষার্থীদের সু-চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করতে হবে। ৪. পুলিশ ও ঢাবি প্রশাসন অন্যায়ভাবে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উপর যে ৫টি অজ্ঞাতনামা মামলা দিয়েছে তা প্রত্যাহার করতে হবে। ৫. আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের ও নেতৃবৃন্দকে পরবর্তীতে কোনো রকম হয়রানি করা হলে শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে আবার আন্দোলন করা হবে এবং ৬. যৌক্তিক দাবিতে সহমত পোষণ করা সকল শিক্ষক, সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবীদের ধন্যবাদ জানানো হয়।

সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুক্ত আহ্বায়ক নূরুল হক নূর, আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, রাশেদ থান ও ফারুক হাসান প্রেস ব্রিফিংয়ে কথা বলেন। প্রেস রিলিজেও তাদের চারজনের স্বাক্ষর রয়েছে। পরে নূরুল হক নূর এসময় প্রধানমন্ত্রীকে মাদার অব এডুকেশন বলে অভিহিত করেন।

Be the first to comment on "প্রধানমন্ত্রীকে ‘মাদার অব এডুকেশন’ উপাধি দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা"

Leave a comment

Your email address will not be published.




six + 18 =